ঘিওরে ৫টি বীজাগার পরিত্যক্ত: হাজার-হাজার কৃষক সুবিধা থেকে বঞ্চিত

আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ ॥

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কৃষি বিভাগের ৭টি সরকারি বীজাগারের মধ্যে ৫টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। অপর ২টি বীজাগার প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। ফলে এলাকার হাজার হাজার কৃষক তাদের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১৯৬০/৬২ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্দ্যোগে ঘিওর, বড়টিয়া,পয়লা, সিংজুরী, বানিয়াজুরী, বালিয়াখোড়া ও নালী ইউনিয়নে ৭টি বীজাগার নির্মাণ করা হয়। দু’কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনগুলো একটি ইউনিয়ন পর্যায়ের তৎকালীন সময়ে বীজাগার হিসাবে ব্যবহার করা হতো। অপরটি ব্লক সুপার ভাইজারদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়। এলাকার হাজার-হাজার কৃষক এখান থেকে সহজে বীজ সংগ্রহ করে জমিতে দিতে পারতো। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অতি সহজে বিভিন্ন পরামর্শ নিতে পারতো। কিন্তু এই বীজাগারগুলো কৃষি অফিসের একশ্রেনীর কর্মকর্তাদের দায়িত্বে কর্তব্যে অবহেলার কারণে এবং সুস্থভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।

04 (2)

জরাজীর্ণ ভবনগুলোর পলেস্টার উঠে ইট বেড়িয়ে গেছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকার দরুণ ২/৩টির ভবন একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে এ ভবনগুলো ব্যবহারে একেবারেই অযোগ্য। ঘিওর সদরে বীজাগারটি নিয়ে কোর্টে মামলা বিচারাধীন। পয়লা ইউনিয়নের বীজাগারটি একটি প্রভাবশালী মহল দখল করে ব্যবহার করছে। ফলে ২টি ইউনিয়নের হাজার হাজার কৃষক তাদের বিভিন্ন জাতের ফসলের বীজ রাখতে সমস্যা হচ্ছে। বড়টিয়া গ্রামের কৃষক মো. আলমাস জানান, ইউনিয়নের বীজাগারটি ভালো থাকলে কৃষকদের স্থানীয়ভাবে বীজ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হতো না। এছাড়া সরকারিভাবে আসা বীজগুলো আনতে ঘিওর যেতে হতো না। কাজেই সরকারিভাবে নতুন বীজাগার নির্মাণ করা দরকার।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফউজ্জান বলেন, “এ বীজাগারগুলো উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের বাসভবন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ভবনগুলো ভেঙে গেছে।” তিনি আরো বলেন, “বীজাগারগুলো ভালো থাকলে কৃষকেরা যেমন উপকৃত হতো। তেমনি আমরাও উপকৃত হতাম। কৃষকদের বীজ রক্ষণাবেক্ষণের কোন সমস্যা হতো না।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা খন্দকার জানান, বিষয়টি সম্বন্ধে তিনি অবগত। জরুরি ভিত্তিতে দখলকৃত বীজাগারগুলো উদ্ধারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

happy wheels 2

Comments