হাওরে আমন ধানের চারা এখন গো-খাদ্য

নেত্রকোনা থেকে সুয়েল রানা ও পাবর্তী সিংহ

‘জলবায়ু পরিবর্তন কি বুঝিনা, উন্নয়ন কি বুঝি না। আমরা জানি আল্লাহ বান (বন্যা) দিছে। এহনও পানি কমতাছেনাহ্। একটু কমার টান ধরলে আবার বৃষ্টি হইয়া পানি আরো বেশি বাড়ায়ে দেয়।’ কথাগুলো বলছিলেন সুরাইয়া বেগম। বন্যার কারণে হাওরের শতশত পরিবার এখন ঘরবাড়ি ছাড়া। যে ফসল ঘরে তুলে নিজের স্ত্রীকে একটা নতুন শাড়ি দিত, মেয়েকে বাবার বাড়ি এনে পিঠা খাওয়াত, পড়াশুনা করা সন্তানদের বই খাতা কিনে দিত, তা সবই এখন বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

Exif_JPEG_420
কোন কোন পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন উজানের আত্মীয় বাড়িতে। আর যাদের আত্মীয় ও সামর্থ্য নেই তারা সব কিছু হারিয়ে জলাবদ্ধ বাড়িতেই মানবেতর জীবন যাপন করছে। জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার নাম যখন জীবন তখন তারা আবার স্বপ্ন দেখছে পানি কমলে নতুন করে জীবন শুরু করার। জমিতে আবার ধান করবে, বিভিন্ন ফসল ফলাবে, গরু চড়াবে মাঠে। এই আশায় তারা আমন ধানের বীজতলা করেছিল।

Exif_JPEG_420

কিন্তু বারবার বৃষ্টি হওয়ার কারনে আমন মৌসুমেও ধানের চারা রোপন করতে পারেনি। আটপাড়া উপজেলার প্রায় বেশির ভাগ কৃষি জমি এখনও পানির নিচে। পানি কমে যাবার অপেক্ষার প্রহর যখন শেষ হল তখন হাওর পাড়ের মানুষ নিরাশ হয়ে আমান ধানের চারাগুলো গরুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে। সারাবছর কেমন করে বাঁচবে তারা? আর এর দায় কে নিবে? এ দায় কার? সরকারের কি কিছুই করার নেই?

happy wheels 2

Comments