তানোরে আলু চাষে ব্যস্ত কৃষক
অসীম কুমার সরকার, তানোর (রাজশাহী) থেকে
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম আলু চাষাবাদ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর তানোর উপজেলা। চলতি মৌসুমে আমন ফসল ঘরে তোলার পাশাপাশি আগাম আলু চাষাবাদে ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকরা। যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। চলতি মৌসুমে শেষ সময়ে কোল্ডস্টোরে রাখা আলুর আশানুরূপ দাম পেয়ে কৃষক আবারও আলু রোপণে ঝুঁকে পড়েছেন।
ইতিমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন জমিতে আমন ধান কাটা শুরু হওয়ায় ওইসব জমিতে আলু চাষাবাদ চলছে। অনেকে আলু রোপণে মাঠ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ অঞ্চলের মাটি আলু চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় তুলনামূলক অধিক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের আলু চাষ করে থাকেন চাষীরা। অন্যান্য রবি ফসলের চেয়ে আলু লাভজনক ফসল হওয়ায় বিগত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলের কৃষকরা আলু চাল করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডিএফএম এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার উপজেলায় ১২ হাজার ৯ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তা ছাড়িয়ে যাবে। আলু লাগানোর পূর্বেই বীজ শোধনের পরামর্শ কৃষি বিভাগ থেকে দেয়া হচ্ছে।’
উপজেলার ধানতৈড় গ্রামের আলুচাষি মোহাম্মদ আলী, আকচা গ্রামের বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও গুবিরপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, আমন ধানের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম না থাকায় উৎপাদন খরচ উঠছে না। এরপরও আলুর দাম ভালো থাকায় আলুচাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
এ নিয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান, আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের পর ওই জমিতে আলু চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আলু চাষের জন্য কার্তিক মাসের শেষ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত উপযুক্ত সময়। এই সময়ের মধ্যে আলু চাষের জন্য কৃষকরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রোপণ শুরু করেছেন। লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে আলু চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও বীজের কোনো সমস্যা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।