তরুণরাই গড়বে সম্প্রীতির দেশ
রাজশাহী থেকে শামীউল আলীম শাওন
‘পারিবারিক সহিংসতা রোধ করি, প্রবীণ পিতামাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করি’ প্রত্যয়ে আইন অধিকার ও সচেতনতামূলক কর্মশালা গতকাল রাজশাহী মহানগরীর রাজশাহী কোর্ট মহাবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সচেতনতামূলক আলোচনা ও কর্মশালায় কলেজের তিন শতাধিক তরুণ অংশগ্রহণ করেন। এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন। কর্মশালা ও সচেতনতামূলক আলোচনায় চলমান সমাজে পারিবারিক এবং সামাজিক সমস্যাগুলোগুলো উত্তরণে তরুণদের দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন মূখ্য আলোচক। একজন তরুণ হিসেবে তার নিজের দাযিত্ব এবং পিতামাতা ও প্রবীণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ এবং আইন ও বিধিবিধান নিয়ে তুলে ধরা হয়। একই সাথে জ্বালানির অপচয়রোধে তরুণদের ভূমিকা নিয়ে উপস্থাপন করা হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ), তরুণ সংগঠন ইয়্যাস (ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ) এবং রাজশাহী কোর্ট কলেজ যৌথভাব সচেতনতামূলক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন রাজশাহী কোর্ট কলেজের অধ্যক্ষ একেএম কামরুজ্জামান। তরুণ সংগঠন ইয়্যাস (ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ) সভাপতি শামীউল আলীম শাওন এর সঞ্চালনা ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম আকাশ এর পরিচালনায় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল ধারনাপত্র উপস্থাপন করেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম। রাজশাহী কোর্ট কলেজের উপাধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী কোর্ট কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক ফাহামিদা খাতুন, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আখতারুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের সহযোগী প্রোগাম অফিসার অমৃত কুমার সরকার, ইয়্যাসের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সোলাইমান হোসেন রকি, নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে সুমাইয়া খাতুন, আতিকুর রহমান আতিক, সুভাষ কুমার শুভ, দীলিপ কুমার প্রমূখ।
কর্মশালা ও আলোচনার এক পর্যায়ে তরুণরা নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নিজের পরিবারে ও সমাজে প্রবীণদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণসহ সকল পর্যায়ে জ্বালানির অপচয়রোধ ও শ্রদ্ধাশীল সমাজ বির্নিমাণের জন্যে হাত তুলে শপথ করেন। হাত তুলে শপথ করান মূখ্য আলোচক রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার আবু আহাম্মদ আল মামুন।