সবাই থাকবো মিলেমিশে
উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাবলু জোয়ারদার
বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর পরিবেশ দিবসটি পালিত হয়। ২০২২ সালের এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘একটি পৃথিবী,আসুন বাঁচি প্রকৃতির ছন্দে”। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল শ্যামনগরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ ও জাতীয় পরিবেশ পদক প্রাপ্ত গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় পালিত হলো আন্তর্জাতিক পরিবেশ দিবস। কৃষক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, যুব, চাকরীজীবি, প্রতিবন্ধীসহ আরো পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শ্যামনগরে এবার পরিবেশ দিবস র্যালি, আলোচনা সভা ও পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা ও উদ্যোগ রাখছেন এমন ২০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স¥ারক সন্মাননা দেওয়া হয়। র্যালিটি শ্যামনগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে আসে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন বলেন, ‘বাংলাদেশ ষড় ঋতুর দেশ ছিল। পরিবেশ ধ্বংসের কারণে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের বিরূপ আচরণ করছে। ‘প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা যেন নির্মল বাতাস পেতে পারি, প্রকৃতির উপর যেন অত্যাচার না করি আজ আমাদের এই শপথ নিতে হবে। আমরা গাছ লাগাবো পরিবেশকে টিকিয়ে রাখবো। পরিবশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় বারসিক জাতীয় পরিবেশ পদক পেয়েছে। এই সম্মান শুধু বারসিকের নয় এই সম্মান শ্যামনগর বাসির আমাদের সকলের। সবুজকে ভালোবেসে বুকে ধারণ করে পরিবেশ সুরক্ষায় নিজ নিজ স্থান থেকে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের পরিবেশের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2022/06/Bablu-1024x472.jpg)
আলোচনা সভার সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আক্তার হোসেন বলেন, ‘পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক খুব ভয়ানক। আগে আমরা বাজার করতে গেলে বাড়ি থেকে ব্যাগ নিয়ে যেতাম এখন আর ব্যাগ নিয়ে যাই না বাজারে গেলে পলিথিন ব্যাগ পাওয়া যায়। বর্তমানে ব্যাগ নিয়ে গেলে নিজেদেরকে অনেক ছোট মনে হয়। এই প্লাস্টিক আমাদের আবর্জনা তৈরি করে। এগুলো পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমরা চেষ্টা করছি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করার যদি আমরা করতে পারি তাহলে শ্যামনগর উপজেলায় মানুষের অনেক উপকার হবে। এই উপকূলীয় এলাকায় আমাদের টিকে থাকতে হবে। সে কারণে এলাকা উপযোগি গাছ লাগাবো পরিবেশ সংরক্ষণে ভুমিকা রাখবো।’
আলোচনা সভা শেষে উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলায় পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে অবদান রাখায় ২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
সম্মাননা স্মারকপ্রাপ্ত আমেনা বেগম বলেন, ‘আমার জীবনে এই প্রথম কোন পুরস্কার পেলাম। আমি ভাবতাম আমার কাজের কোন মূল্য নেই। আমি গ্রামে জন্মেছি ছোট বেলা থেকে আমি প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠেছি। প্রকৃতির সাথে আমরা পথচলি। এই চলার পথ আমাদের ঠিক রাখতে হবে। আমাদের সবার দায়িত্ব নিতে হবে।
পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা নানা রকমভাবে কাজ করি। পরিবেশ পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সবাইকে সম্মিমিলিতভাবে কাজ করতে হবে, পরিবেশকে ঠিক রাখতে হবে। পরিবেশ ঠিক থাকলে আমরা ঠিক থাকবো।