আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সামাজিক বৈষম্য রোধে ভূমিকা রাখবে
সত্যরঞ্জন সাহা, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
জীবন গতিময়, গতির সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের পথচলা। আমাদের পথচলাকে আরো সুদৃঢ় করতে আমাদের সম্বিলিত উদ্যোগ ‘সাইকেল আমার স্বাধীনতা কিশোরি সংগঠন’। সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাওয়া, প্রাইভেট পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করে থাকি। সংগঠনের উদ্যোগে বাড়িতে বাড়িতে বৃক্ষ রোপণ করেছি। বাল্য বিয়ে রোধে নিজেরা সচেতন হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করার মাধ্যমে ঐক্যের পথ সুগম হয়েছে। সকলকে নিয়ে বাঁচার শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবন যুদ্ধে আমরা এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত হয়। সোনালি দিনের প্রত্যাশায় আমাদের উদ্যোগ সফল হবে।’
উপরোক্ত বক্তব্যটি একজন কিশোরীর। ‘সাইকেল আমার স্বাধীনতা কিশোরি সংগঠন’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য সে। তার নাম ইসরাত জাহান। হরিরামপুরের পাটগ্রাম অনার্থ বন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সে। সংগঠনের মাধ্যমে তারা সমন্বিতভাবে কিশোরীদের সমন্বয়ে সমাজের বাল্য বিয়ে রোধ, নারী শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, নারী অধিকার আদায় ও নারী পুরুষের বৈষম্য এবং সমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে তারা স্কুলের বন্ধুদের সাথে নারীদের সাইকেল চালানোর উৎসাহ প্রদান করে। ফলে নারীদের লেখাপড়া সহজ হয়েছে ও পরিবারের ব্যয়ও কমছে। ইসরাত জাহান বলে, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি সামাজিক বৈষম্য রোধে ও নারীদের সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।’
হরিরমাপুর উপজেলার বাহিরচর গ্রামের কিশোরি সংগঠক সুমি আক্তার বলে, ‘নারী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াকে গতিশীল করতে হবে। আমাদের পথচলাকে আরও সহজ এবং এগিয়ে নিতে আমাদের সম্মিলিত শক্তিতে কাজ করব। আমাদের সংগঠনের ১৫ জন ‘বাই সাইকেল’ চালাতে পারি। সমাজের অন্য মেয়েদেরও সাইকেল চালাতে উৎসাহিত করি। বাল্য বিয়ে নয়; নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি, পরিবার ও সমাজে উদাহরণ সৃষ্টি করার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের সংগঠনের সদস্যগণ নিজেদের শক্তিশালী সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করছি।’
পদ্মা নদীর ভাঙ্গা গড়ায় মধ্য দিয়ে নারীরা জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলে। শত প্রতিকূলতার মাঝে জীবনকে আরো সুন্দর করে নিতে তারা সফল হবে বলে আমরা মনে করি।