বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা চায় সরকার

বারসিকনিউজ ডেস্ক
দূষণমুক্ত ঢাকা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউএসএইড ও এফসিডিও এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে গত ১৯ অক্টোবর পার্লামেন্ট ক্লাব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ- এর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আইনি সীমাবদ্ধতা ও সুপারিশ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব তানভীর শাকিল জয়, এমপি, সদস্য, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা. দিবালোক সিংহ, নির্বাহী পরিচালক, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও চেয়ারপার্সন, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ)।


সভায় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য সাবের হোসনে চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনস্বাস্থ্য একটি সুতোয় গাঁথা বলে মন্তব্য বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে হলে একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, টেকসই সার্কুলার ইকোনমির (ফোর আর) দিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়সহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বয় করতে হবে, সিটি কর্পোরেশনের বাজেটে যে থোক বরাদ্দ দেয়া হয় তা একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি জাতীয় ইস্যু হিসেবে দেখতে হবে।’


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য এবং সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বলেন, ‘সুষ্ঠু পরিবেশ গঠন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কাজ করছে।’ সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে তৃণমূল পর্যায়ে এই সচেতনতা বৃদ্ধিতে এনজিওর কাজকে সমর্থন করে তৃণমূলের তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তিনি এনজিওদের ধন্যবাদ জানান।


পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট আইন না থাকলেও পরিবেশ সংরক্ষণে যে সকল আইন বিদ্যমান তার যথাযথ প্রয়োগ কতটুকু হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা দরকার এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরকরণে এর বাণিজ্যিকিকরণ জরুরি।’
দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় কর্তৃক গৃহীত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় গ্যাপ নিরোসন, দ্রæত অনুমোদন ও সঠিক বাস্তবায়ন দরকার।’


ইনসাইটস এর উপদেষ্টা সুমন আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯ এ উল্লেখ থাকলেও তা কিভাবে করবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা আইনে নেই। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ আইনী বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি। বিশেষ করে খসড়া কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ চূড়ান্তকরণ এবং যথাযথ পরিবীক্ষণের বিধান কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থপনা বিধিমালায় রাখতে হবে।’ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের বর্জ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্জ্যকে কমিয়ে আনা এবং একে সম্পদে রূপান্তরিত করায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা জরুরি।’

happy wheels 2

Comments