পিঠা উৎসব: আমাদের গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতি
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
বাঙালির ঐতিহ্যে পিঠার ইতিহাস খুব পুরানো হলেও বর্তমানে পিঠার স্বাদ আধুনিক ও রন্ধন শিল্পের নানান কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। পিঠার চমৎকার গন্ধে বাড়ির উঠান পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। খেজুর রসের গন্ধযুক্ত পিঠা সবার কাছে আজ সমাদৃত।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের বহুজা গ্রামের প্রবীণ কৃষক বাবর আলীর উঠানে সম্প্রতি বহুজা প্রবীণ সংঘ ও বারসিক’র যৌথ আয়োজনে গ্রামীণ নারীর লোকায়ত চর্চায় ‘পিঠা পুলির উৎসব ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার মো. মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এস.আর আনসারি বিল্টু, জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কৃষিবিদ আশরাফ উজ্জামান, ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সাংবাদিক রিপন আনসারী, নাট্যকর্মী গীনি আলম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, মুক্তা আক্তার, মো. সালাম মিয়া প্রমুখ।
পিঠা উৎসবে গ্রামীণ নারীদের লোকায়ত পদ্ধতিতে তৈরি কুলি পিঠা, ফুল পিঠা, মোরক সংসার, চিতই পিঠা, রুটি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, রড়া পিঠা, ভাঁপা পিঠা, তেল পিঠা, তালের পিঠা, দুধ কলি, তিল কুলি, দুধে চিতই পিঠা, পাতা পিঠা, কাটা পিঠা, ক্ষীর পিঠা, কুলকি পিঠা, সেমাই পিঠা, তেলের পিঠা, কলার পিঠা ইত্যাদি প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া আরও কতো রকমারি পিঠা অঞ্চল ভেদে রয়েছে সেগুলোর নাম বলে শেষ করা যাবে না।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঘিওর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান হাবিব তাঁর বক্তব্যে প্রবীণদের সুরক্ষায় বাবর আলীর বাড়ির সামনের ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের প্রতিশ্রæতি দিয়ে বলেন, ‘ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পেতে হলে অবশ্যই আমাদের গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে।’