নারী-পুরুষ অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত থাকলে সংসারে অভাব দূর করা যায়
মানিকগঞ্জ থেকে আছিয়া আক্তার
মণিঋষিপাড়ার বউ জ্যোৎস্না রানী (৩০)। স্বামী সুশীল মণি দাস (৪৫)। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। জ্যোৎস্না রানীর তিন কন্যা। বড় মেয়ে ৫ম শ্রেণীতে এবং মেজো মেয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়াশোনা করে।
মহামারি করোনায় তার স্বামীর রাজমিস্ত্রি কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মহা বিপদে পড়ে যান তারা। সরকারের ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে যায়। তাই সংসারের চাকাকে সচল করার জন্য জ্যোৎস্না রানী তাঁর আদিপেশা বাঁশবেতের কাজে লেগে যান। আদিপেশা হিসেবে তিনি আগেই থেকেই এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞ। বাঁশবেতের কাজ করে তিনি তাঁর সংসারের হাল ধরেন। এ কাজে তাঁর স্বামী ও সন্তানেরাও মাঝে মাঝে তাকে সহযোগিতা করেন বলে তিনি জানান।
এ বাঁশবেতের কাজ করে তিনি দৈনিক গড়ে ৫শ’ টাকা আয় করতে পারেন বলে তিনি জানান। করোনা মহামারিতে যে ধরনের বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন তা এখন কাটাতে সক্ষম হয়েছে। এ কাজ জানা ছিলো বলে বলে তাঁর স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে তাকে পথে বসতে হয়নি। এছাড়া বর্তমানে তাঁর স্বামী পুনরায় তার কাজে যোগদা করেছেন। তবে তিনি এ আদিপেশা ধরে রাখবেন বলে জানান।
এই প্রসঙ্গে তাঁর স্বামী মণি দাস বলেন, ‘আমার স্ত্রী বাঁশবেতের কাজ করতে পারে বলে করোনায় আমরা সংসারের চালাতে সক্ষম হয়েছি। আমার আয়রুজির কাজ বন্ধ হওয়ায় আমি খুব চিন্তায় ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংসারে নারী ও পুরুষ মিলে আয় করি তাহলে যেকোন সমস্যা সমাধান করা যায়। অভাব আসলেও তা মোকাবেলা করা যায় দুজনে মিলে। এখন আমরা বেশ ভালো আছি।’
দিনের চকচকে সোনালি আলো নিভে গিয়ে আসে রাতের শান্তশিষ্ট স্নিগ্ধময় জ্যোৎস্নামাখা আলো। প্রকৃতি থাকে নিরব, কোলাহল মুক্ত। দিনের আলোর মত রাতের আলো স্পষ্ট না হলেও ঝাপসাভাবে দেখা যায় আশপাশ। এমনই এক স্নিগ্ধময় ঝাপসা আলোয় আলোকিত এখন জ্যোৎস্না রানীর সংসার।