পুকুর রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

নেত্রকোনা থেকে মো: অহিদুর রহমান

গতকাল ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এ দিবস উপলক্ষে বারসিক, নেত্রকোণা শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, নেত্রকোণা সম্মিলিত যুব সমাজ, উজ্জীবিত নেত্রকোণার সদস্যরা নেত্রকোণা শহরের বড় পুকুর, উপজেলা পুকুর, হাসপাতালের সামনের পুকুর, মোক্তার পাড়া পুকুর, চন্দ্রনাথ কলেজ পুকুর, নেত্রকোনা সরকারী কলেজ পুকুর, ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুরসহ নেত্রকোণা জেলার সকল জলের উৎস রক্ষার দাবিতে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুর প্রাকৃতিক জলাধার বলে হাইকোর্টেও এক রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। রায়ে মহানগর ও বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, পৌর এলাকাসহ দেশের সব পৌর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে রেকর্ডভুক্ত পুকুরগুলো ২০০০ সালের জলাধার সংরক্ষণ আইনের ২ (চ) ধারায় প্রাকৃতিক জলাধারের সংজ্ঞাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে কোন জলাধারই ভরাট করা যাবে না।

নেত্রকোণায় পৌরশহর ও উপজেলা সদরের ঘনবসতি এলাকায় থাকা মজা পুকুর সংস্কার না হওয়ায় পুকুরের পানি যেমন ব্যবহার করতে পারছেন না তেমনি পুকুরগুলো মশার উৎপত্তিস্থলে পরিণত হয়েছে। পৌরশহর ও উপজেলা সদরের এসব পুকুরে ময়লা আবর্জনা ও কচুরিপানা জমে ভরাটপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সংস্কারহীন অবস্থায় থাকা এসব পুকুরের পানিও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অনেক ব্যক্তিগত পুকুর ভরাট করে বাসাবাড়ি তৈরি হচ্ছে। নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, নেত্রকোণা শহরে ছিলো ৪৫টি পুকুর। বর্তমানে ১১টি পুকুর বর্তমান আছে। প্রতিবছরই নতুন করে ভরাট হচ্ছে পুকুর। একটি শহরকে শীতল রাখার জন্য জলাধার ও পুকুরের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া একটি পুকুর বছরে লাখ লাখ টাকার বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে। শহরে আগুন লাগলে আমরা পুকুর থেকেই পানি সংগ্রহ করি। মানুষ গোসল করে, কাপড় কাচে,পানি সংগ্রহ করে ,সাঁতার কাটে । কিন্তু পুকুর না থাকায় মানুষ ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ফলে পানির স্তর আরো নীচে চলে যাচ্ছে।

happy wheels 2

Comments