ছেলামপুর এখন সবুজ একটি গ্রাম
রাজশাহী থেকে উত্তম কুমার
২০১৬ সালে বারসিক ছেলামপুর গ্ৰামে কাজ শুরু করে । পর্যায়ক্রমে ওই গ্রামের নারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় স্থায়িত্বশীল কৃষি চর্চা করতে। কাজের পরিপ্রেক্ষিতেই ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি নারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠিত করা হয় যার নাম ‘ছেলামপুর নারী উন্নয়ন সংগঠন’। সংগঠনের মাধ্যমেই ওই গ্রামের নারীরা সঞ্চয়ে মনোযোগী হন। তারা প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে সঞ্চয় করেন। সঞ্চয়গুলো তারা সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে জমা রাখেন। সংগঠনের মাধ্যমে নারীরা সমাজের নানান ধরনের উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/09/372264972_321196287032667_214920195345077958_n-1024x768.jpg)
সংগঠনের মাধ্যমে নারীরা কৃষিতে ভূমিকা রাখছেন। তাঁরা বারসিক’র সহযোগিতা নিয়ে বসতভিটায় জৈব উপায়ে সবজি চাষ করছেন। পরস্পরের সাথে বীজ বিনিময় করছেন। এছাড়াও তারা অচাষকৃত সবজিগুলো সংরক্ষণ করছেন। অচাষকৃত সবজির গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য তারা পাড়া মেলা আয়োজন করছেন। অন্যদিকে সবজি চাষের পাশাপাশি তারা বৃক্ষরোপণ করছেন। পতিত জায়গায় তারা নানা ধরনের ফলদ ও ওষুধি গাছ রোপণ করছেন। তাঁরা নিজেরা জৈব বালাইনাশক তৈরি করে ফসলে প্রয়োগ করছেন। এছাড়াও পরিবেশ বান্ধব চুলা ও হাজলের ব্যবহার শিখেছেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/09/371509608_1844818959308591_1933126627034647962_n-1024x768.jpg)
সংগঠন হওয়ার পর থেকে নানান সামাজিক ও পরিবেশ বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত উঠান বৈঠক করা হতো। এতে করে নারীদের মধ্যকার ঐক্য বেড়েছে, বেড়েছে সবজি বীজসহ নানান উপকরণের বিনিময়। তাই দেখা যাচ্ছে, এলাকাতে বেড়েছে তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে সবজি চাষ। কোন জায়গায় পতিত নেই ওই গ্রামে। জানা যায়, গ্রামে ৭০ ভাগ পরিবার পরিবেশবান্ধব চুলা ব্যবহার করেন।
ওই গ্রামে যখন বারসিক কাজ শুরু করে তখন সুমি আক্তারের নিজ বাড়িতে কম কম সবজির বীজ ছিলো। বর্তমানে তার বাড়িতে প্রায় প্রায় ৮০ প্রকার সবজির বীজ রয়েছে। সেখান থেকে নারীরা বীজ সংগ্রহ করেন এবং ফসল ফলানোর পর সেই বীজ তারা আবার ফেরত দেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/09/370768523_611026200929265_2319880356470170847_n-1024x768.jpg)
সুমি আক্তারের সবজি চাষ দিয়ে শুরু হয় ওই গ্রামে বারসিক’র কাজ। আজ সমি আক্তারের সফলতার পর গ্রামে সবাই শুরু করেছেন নিজ নিজ বাড়িতে সবজি চাষ করার। ছেলামপুর গ্রামের চিত্রটি এখন প্রায় বদলে গিয়েছে। দৃশ্যমান সকলের বাড়ির পাশে সবুজ রঙে ভরা।