আমাদের আন্দোলনগুলো আরো বেগবান করতে হবে

শ্যামনগর, সাতক্ষীরা থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল
‘আমরা উপকূলীয় এলাকার মানুষ। প্রতিনিয়ত নানান ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে আমাদের জীবনযাপন। এ প্রতিকূলতার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাধা হলো আমাদের দুর্যোগ। এখানে সারাবছর ঘুরে ফিরে নানান ধরনের দুর্যোগ হানা দেয়। আর তাতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়। এখানে বড় যে ক্ষতি হয় আর তার জন্য আমাদের দুর্বল বেড়িবাঁধ। আমাদের উপকূলীয় এলাকার নদীর বাঁধগুলো মজবুত নয়। এগুলো যেমন তেমন কোন দুর্যোগ হলে ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করে। আমরা সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের এলাকার সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করছি। তার মধ্যে কিছু সফল হচ্ছি আবার কিছু হচ্ছে না। আর যেটা দীর্ঘদিন ধরে সফল হয়নি তা হলো এই বেরিবাঁধ সংস্কার। তাই আমরা শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষেরা মিলে আমরা যে উপজেলা জনসংগঠন করেছি আমরা সকলে মিলে আমাদের যে দাবি বা আন্দোলন করি সেগুলোকে আরো বেগবান করতে হবে। তাহলেই হয়তোবা আমাদের বেড়িবাঁধের এই সমস্যাসহ সব ধরনের সমস্যা সমাধান হবে।’

উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন শ্যামনগর উপজেলার জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। ৩১ অক্টোবর বারসিক’র উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় গড়ে উঠা বিভিন্ন পেশাজীবী জনসংগঠনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে হায়বাতপুর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির কার্যালয়ে জনসংগঠন সমূহের চলমান কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন বিষয়ক সমন্বয় সভায় কথাগুলো তুলে ধরেন।


সভায় উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপত্বিতে ও বারসিক কর্মকর্তা বিশ^জিৎ মন্ডলের সঞ্চলনায় এবং ভারপ্রাপ্ত এলাকা সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদারের শুভেচ্ছা বক্তব্য ও পরিচিতির মাধ্যমে সভার শুভ সুচনা হয়। সভায় কর্মএলাকার ৩৫টি জনসংগঠনের প্রতিনিধি, জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বারসিক কর্মকর্তাসহ মোট ৪৩ জন অংশগ্রহণ করেন।


আলোচনা সভায় সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের নিজনিজ সংগঠনের চলমান কার্যক্রম, সফল উদ্যোগ এবং কাজের যে বাধাগুলো আছে তা সহভাগিতা করেন। একইসাথে উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটি এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা যেমন জলাবদ্ধতা, কীটনাশক মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বেড়ি বাঁধ, বনায়ন, সংগঠনের ঘর তৈরি, সংগঠন নিবন্ধন, খাল পুনঃখনন ও ইজারামুক্ত, চিংড়ি ঘেরের জোনিং সিষ্টেম না থাকা ইত্যাদি বিষয়ে সমাধানের জন্য কি ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ কর্ াযায় তা পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি সরকারী যে বিভিন্ন ধরনের সেবা আছে তা আদায়ে সকলকে সচেতন হওয়ার এবং একে অন্যের পাশে থেকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করা হয়।

happy wheels 2

Comments