‘উপকূলের কান্না তোমরা কি শুনতে পাও না’?

সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে বাবলু জোয়ারদার
শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নীলডুমুর আলাউদ্দিন মার্কেটে গতকাল জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে উপকূলীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে পরিবেশ উন্নয়ন ক্লাব, সিডিও ,সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিম ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় জারী গান, র‌্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিশরের আল শেখে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন (পড়ঢ়২৭) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । এবারের জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আগ্রহ বিরাজ করছে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাইদুজ্জামান সাইদ, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আকবর কবীর, স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম, জলবায়ু পরিষদের সদস্য শিক্ষক সাংবাদিক রনজিত বর্মণ, বনজীবি আজগর আলি, উন্নয়ন কর্মী পিযুষ বাউলিয়া পিন্টু, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, বারসিক’র সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘উপকূল বাঁচলে বাচঁবে দেশ। উপকূলকে বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উপকূলসহ বাংলাদেশ দায়ী নয়। দায়ী হলো ধনী দেশগুলো কিন্তু দায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশ। কার্বন নিঃসরণ না কমানো যায় তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো। এমন ভাবে চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমরা টিকে থাকতে পারবো না।’


বক্তারা আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় এলাকায় ঝুকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় মানুষের বসবাস করা খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে। এই এলাকার মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল থেকে জলবায়ু স¤েœলনে অংশগ্রহণকারী ধনী রাষ্টগুলো জানতে চাই আমাদের নিয়ে খেলা করলে আর হবে না। আমাদের অধিকার আমাদের দাবি মানতে হবে। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। আমাদের সকল প্রানের নিরাপত্তা চাই। সেই সাথে উপকূলের সুপেয় পানির আধার তৈরি ও সংরক্ষণ।


বক্তারা বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণকারী ধনী দেশগুলোকে জানাতে চাই আপনারা আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন আমাদের বাঁচতে দিন। সেই সাথে উপকূলের মানুষের অধিকার ও নায্যতার দাবী তুলে ধরতে উপকূল দিবস পালনের মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে দাবী জানায় উপকূল দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক।’
এর আগে উপকূল দিবস উপলক্ষে একটি সুবিশাল র‌্যালি নীলডুমুর বাজার ঘুরে এসে বনবিভাগ অফিসের পাশে নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেন। আলোচনা সভা শেষে উপকূল বিষয়ে সচেতনতা তৈরীতে জারী গান অনুষ্ঠিত হয়।

happy wheels 2

Comments