সড়কে যেন কারও অকাল মৃত্যু না হয়
সত্যরঞ্জন সাহা হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে ইয়ুথ গ্রীণ ক্লাব ও বারসিক’র উদ্যোগে একটি অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। ‘গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দুঘটনা রোধ করি’ এই। প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ও নিত্যদিনের চলাচলের অভিজ্ঞতা থেকে অংশগ্রহণকারীগণ আলোচনা করেন। উক্ত আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন হরিরামপুর যুব টিমের আহবায়ক শহীন টিটু।

বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মানিকগঞ্জ আলোচনায় বলেন, ‘রাস্তায় চলাচলে নিয়ম আমাদের সকলের জানা প্রয়োজন। ভালোভাবে না দেখে আমরা রাস্তা পাড়াপাড়ে সহজে দুর্ঘটনা হয়। রাস্তায় চলাচলে সরকারের আইন সম্পর্কে না জেনেই অনেকে গাড়ি চালান, ফলে যে কারোর জন্য বিপদ হয়। স্কুলে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় চলার চল ও গাড়ির চালানোর আইন এবং নিয়ন কানুন সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তার গতিরোধক থাকে কিন্তু রঙ দেওয়া না থাকায় বোঝা যায় না, দুর্ঘটনার শিকার হয়। তরুণরা হেলমেটকে বোঝা মনে করেন। মটর সাইকেলে ২টি হেলমেট বাধ্যতামুলক থাকতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে। ওভার ব্রীজ ব্যবহার করা ও রাস্তায় অসর্তকভাবে চলচল না করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। আমাদের সকলের নিরাপদ সড়ক সম্পর্কে জানার প্রয়োজন ও আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সড়কে অকাল মৃত্যু দেখতে আর চাইনা।’
ঘিওর উপজেলার গ্রামীণ শিল্পী সংস্থার রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রতন সাহা, ছাত্র সুজন মন্ডল, কৃষক রউফ মিয়া, সাগর মিয়া আলোচনায় জানান, অধিকাংশ শহরে রিক্সা, মটর সাইকেল রাখার জায়গা থাকে না, ফলে রাস্তার আনাচে কানাচে রাখা হয়। ফলে রাস্তা জ্যাম ও সড়ক দুর্ঘটনার হয়। যুবকগণ মটর সাইকেল চালান দ্রæত গতিতে, ফলে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নিজে বিপদে পড়ে রাস্তার অন্যদেরকে বিপদে পড়তে হয়। রাস্তায় গাড়ির চালানোর প্রতিযোগিতা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তবে আমাদের সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
সিংগাইরের নিরাবরণ থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক সাদত সায়েম, বিনদা সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলামিন খান ও স্বেচ্ছাসেবক আশিষ চন্দ্র সরকার, লিজা আক্তার জানান, শিক্ষার্থীদের হাতে বই থাকবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো কিছু শিক্ষার্থীদের হাতে থাকে মটর সাইকেল। অল্প বয়সে হাতে মটর সাইকেল অসতর্কভাবে চালানোর ও সীমাহীন গতির ফলে অকালে জীবন শেষ হয়। এজন্য রাস্তার অন্য লোকজনও বিপদে পড়ে। আমাদের পরিবার থেকে সচেতন হতে হবে।’
হরিরামপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন মিয়া, হরিরামপুর যুব টিমের আহবায়ক শহীন টিটু, স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্য সুচরন সরকার, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মুকতার হোসেন ও সত্যরঞ্জন সাহা জানান, আমরা দেখেছি রাস্তায় বিশ^বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রের মৃত্যু। ফলে শিক্ষার্থীগণ নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছে। নিরাপদ সড়কে শিক্ষার্থীদের নানামূখী দাবি করে আসছে, এ দাবি বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন। ঢাকা আরিচা সড়কসহ মহাসড়কগুলোতে অকাল মৃত্যু ঘটছে প্রায়ই। দ্রæত গতির কারণে রাস্তায় বেশি মত্যু হয়। আমাদের দাবি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের রোড সিগনাল জানতে হবে।’