সাম্প্রতিক পোস্ট

বিশ্ব খাদ্য দিবসে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের দাবি

বারসিক নিউজ প্রতিনিধি 
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও বারসিক নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে জাতীয় বিনিয়োগ ও বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা জানান, দেশের সিংহভাগ খাদ্য আসে কৃষি থেকে কিন্তু প্রতিনিয়ত এই খাদ্য উৎপাদন, গুদামজাতকরণ ও বাজারজাত প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেবলমাত্র শস্যজাত, সব্জি ও ফলমূল নয়; আমিষজাত খাদ্যের প্রধান উৎস পোল্ট্রি ও মাছ বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। উপস্থিত চিকিৎসক, গবেষক, কৃষিবিদরা জানান, পোল্ট্রি মুরগি ও মাছে ভয়াবহ মাত্রায় ক্রোমিয়াম ও সীসা পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এক ভয়াবহ সংকট পাড়ি দিচ্ছে আর এ সংকট মোকাবেলায় খাদ্য উৎস ও খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষকের নিরাপত্তা সবার আগে নিশ্চিতকরণের জোর দাবি জানান বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথি পংকজ ভট্টাচার্য।


IMG_2693 IMG_2712 IMG_2616 (1)
পবা কার্যালয়ে খাদ্য দিবসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান। নিরাপদ খাদ্যের সংকট উত্তরণে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন, পবার সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও শিশু-কিশোর সংগঠক ড. লেলিন চৌধুরী, বারসিকের সমন্বয়ক সৈয়দ আলী বিশ্বাস, কৃষিবিদ এবিএম তৌহিদুল আলম, মডার্র্ণ ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসানাত, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, বারসিকের মো. জাহাঙ্গীর আলম, লিপি কর, সুদিপ্তা কর্মকার, গোপাল কুমার দাস প্রমুখ। বৈঠকে বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কৃষি, অর্থনীতি ও মানবাধিকর নিশ্চিতকরণের ভেতর দিয়ে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও গ্রাম উন্নয়নে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানানো হয়। গোলটেবিল বৈঠকটির সঞ্চালনা করেন ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল এবং ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পাভেল পার্থ।

গোলটেবিল বৈঠকে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরা হয়:

১. মাঠ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সকল পর্যায়ে খাদ্যকে কীটনাশকসহ সকল প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত রাখতে হবে।
২. নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে সুনির্দিষ্টভাবে জাতীয় বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
৩.দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নিয়মিত খাদ্যের মান পরীক্ষা করে জনগণকে জানাতে হবে। ভেজালবিরোধী অভিযানকে শুধুমাত্র শহরের বিপণিবিতান নয়, একেবারে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন নজরদারিতে আনতে হবে।
৪. নিরাপদ খাদ্য এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষকে আরো জনবান্ধব এবং যুববান্ধব করে সক্রিয় করতে হবে। খাদ্যের সাথে জড়িত সকল বিভাগ ও দপ্তরকে সমন্বয় করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে।
৫. এককভাবে মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে অন্যান্য প্রাণ ও প্রজাতির খাদ্য ও পরিবেশকে বিনষ্ট করা যাবে না। গবাদি প্রাণিসম্পদের খাদ্যকেও ভেজালমুক্ত ও নিরাপদ করতে হবে।
৬. খাদ্যকে দূষিতকরণ, ভেজাল দেয়া এবং যেকোনোভাবে খাদ্যকে ঝুঁকিপূর্ণ ও জনস্বাস্থ্যবিরোধী করে তোলার সকল প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। এরকম শাস্তিযোগ্য অপরাধসমূহ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।

happy wheels 2

Comments