চায়ের কাপে জলবায়ু সম্মেলনের কথা

উপকূল থেকে রুবিনা রুবি 

দীর্ঘদিন পর আবার শুরু হয়েছে জলবায়ু সম্মেলন। মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে বহুদিন বন্ধ ছিলো প্রতীক্ষিত জলবায়ু সম্মেলন। প্রতিটি জলবায়ু সম্মেলনে আমাদেরকে আসস্থ করে ধনী দেশগুলো কিন্তু পরবর্তীতে কোন প্রতিকার হয়না। এ কারণে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, যে প্রতিবাদ চায়ের কাপেও বাদ যায়নি।

শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নে সম্প্রতি সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে চায়ের আড্ডাতে জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলবায়ু সম্মেলন cop27 অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মিশরে। এই জলবায়ু সম্মেলনকে নিয়ে অনেক আগ্রহ বিরাজ করছে পৃথিবীর সর্ব স্তরের মানুষের মধ্যে। বাদ যায়নি চায়ের দোকান।

মোঃ আকবার আলী(৬০) বলেন, ‘চায়ের দোকানে ঘরের খবর থেকে বিশ্বের খবর পর্যন্ত জানা যায় কারণ সেখানে সব স্তরের মানুষ চায়ের তৃপ্তি মেটানোর জন্য আসে এবং সার্বিক পরিস্থিতির গপ্পে মেতে ওঠে তারা।’ মোঃ আকবার আলীর বলার পরিপ্রেক্ষিতে চায়ের দোকানের মানুষ জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে কি ভাবছে তাদের ধারণা কি সে বিষয়ে আলোচনা করা হলে মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য চরম ভোগান্তিতে আমরা। এর জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো। ধনী দেশগুলো যদি এখন থেকেই কার্বন নিঃসরণ না কমিয়ে দেয় তাহলে আমরা ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়বো ভবিষ্যৎতে এবং এমন পরিবর্তন চলতে থাকলে দেখা যাবে একটা সময় আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।’

চায়ের চুমুকের সাথে সাথে মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু সম্মেলনের কথা কম বেশি শুনেছি কিন্তু আমাদের দাবি আমরা আপনাদের কোন ফান্ড চাইনা আপনারা কার্বন নিঃসরণ কমান আপনাদের ভোগ বিলাসী জীবন থেকে বের হয়ে আসেন আমাদের বাঁচতে দিন।’ এছাড়াও উপস্থিত সকলে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।

সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের সমন্বয়ক এস এম রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় চায়ের কাপে জলবায়ু সম্মেলনের কথা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের অন্যান্য যুব সদস্যরা এবং বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিকের কর্মকর্তা চম্পা রানী মল্লিক এবং রুবিনা পারভীন।

happy wheels 2

Comments