স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতার সামাজিক উদ্যোগ
দেবদাস মজুমদার, বিশেষ প্রতিনিধি, উপকূল অঞ্চল
দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যায় কলেজ ক্যাম্পাসে। জ্ঞান ও অধ্যয়নের জন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব শিক্ষার্থীর তাই প্রিয় এ কলেজ অঙ্গন। মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি ক্যাম্পাসের পরিপার্শ্ব পরিবেশ সুরক্ষার দায়িত্ব এখানে সব শিক্ষার্থীদের। কলেজ ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযানে শিক্ষার্থীরা সংগঠিত। প্রতিমাসে দুইবার সমবেত শিক্ষার্থীরা মিলে স্বেচ্ছাশ্রমে কলেজ ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযানে অংশ নেন। গত এক বছর ধরে তারা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এ কাজ করে আসছেন। এতে সহপাঠীদের মধ্যে একদিকে সচেতনতা ও শৃংখলা বোধের সৃষ্টি হয়েছে।
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সরেজমিনে গিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কয়েক শত শিক্ষার্থীকে কলেজ ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভিযানে অংশ নিতে দেখা গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ অধ্যক্ষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কলেজে অধ্যয়নরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে কলেজ ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেয় । গত এক বছর ধরে প্রতিমাসে দুইবার পুরো কলেজ ক্যাম্পাস ঝেড়ে-মুছে পরিচ্ছন্ন করার অভিযানে অংশ নিচ্ছে। এতে কলেজের চার শতাধিক শিক্ষার্থী মিলে নিয়মিত স্বেচ্ছাশ্রমে কলেজের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন করে আসছে। তারা পুরো ক্যাম্পাসের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে নির্দিষ্ট স্থানে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে। এছাড়া কলেজের সুপেয় পানির পুকুর সুরক্ষার, ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের পরিচর্যাও তারাই করেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সাদিয়া রহমান সুচি বলেন, “আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমার জীবন। কলেজের পরিবেশ ভালো থাকলেও আমার জীবনও ভালো থাকবে। তাই ক্যাম্পাসের পরিবেশ ভালো পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও সব শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব।”
মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ফরাজি বলেন, “অধ্যক্ষ মহোদয়ের আহ্বানে আমরা সব সহপাঠীদের উদ্বুদ্ধ করে স্বেচ্ছাশ্রমে কলেজ ক্যাম্পাস পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছি। এ কাজে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ভালো সাড়া দিয়েছে।”
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, “গত এক বছর ধরে কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেরা মিলে কলেজ ক্যাম্পাস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে আসছে। তারা আনন্দের মাঝেই এ সামাজিক উদ্যোগে অংশ নিচ্ছে। বিষয়টি সবার জন্য একটা শুভ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীরাও এ ভালো কাজের অংশ হতে পারে আনন্দিত।”