কাইশ্যাবিন্নি ধান কৃষকের মন জয় করেছে
সত্যরঞ্জন সাহা, হরিরামপুরম, মানিকগঞ্জ
বরুন্ডি কৃষক সংগঠন ও বারসিক যৌথ উদ্যোগে কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন বরুন্ডি কৃষক সংগঠনের সভাপতি বৈদ্যনাথ সরকার। প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন মানিকগঞ্জ জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ রওশন আলম, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান, কৃষক বিজ্ঞানী আলেয়া বেগম, শহিদুল ইসলাম, গুরুদাস সরকার ও বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা, মুকতার হোসেন, শাহীনুর রহমান।
আলোচনায় কৃষক ও বক্তারা বলেন, ‘আমরা ধানের যেমন ফলন বেশি চাই, তেমনিভাবে জৈব উপায়ে কম খরচে বেশি ধান উৎপাদন করতে চাই। কৃষক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষের মাধ্যমে বীজ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ আমরা করব। মানিকগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা নিচু হওয়া হওয়ায় পানি সহনশীল ধান আমাদের একান্ত প্রয়োজন। কোন কোম্পানি নয়, আমাদের নিজের হাতে ধান বীজ রেখে চাই করব। ধান বীজ আমাদের সম্পদ, আমরা সংরক্ষণ করব।’
কৃষকেরা বলেন, ‘গবেষণা প্লট থেকে আমরা ৩৮ জন কৃষক কাইশ্যাবিন্নি ধান বাছাই করেছি, কাইশ্যাবিন্নি ধান আমাদের মন জয় করেছে। তাছাড়াও সরু জাতের ধানসহ মকবুল ধান বেশ ভালো, কৃষকগণ কম খরচে চাষ করে লাভবান হতে পারবে। আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে বিভিন্ন ধরনের ধানের চালের চিড়া, মুড়ি,লাড়–ু, খই, পিঠা, পায়েশ, ভাত ইত্যাদি।’ তারা আরও বলেন, ‘এই খাবারগুলো আমাদের আত্মীয় স্বজনদের আপ্যায়নের মাধ্যমে বন্ধন মজবুত হয়। অন্যদিকে আমরা কৃষক আমরা নিজেরা অন্যের উপর নির্ভরশীল নই।’
মাঠ দিবসে কৃষকেরা ৮ জাতের ধান বাছাই করেন। ধানগুলো হলো কাইশ্যাবিন্নি, মকবুল, রাজভোগ, কালিজিরা, চিনিগুড়া, সাদা পোলাও, বেগুনবিচি,গুটিস্বর্ণা। মনিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর, হরিরামপুর, মানিগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষকগণ জৈব উপায়ে চাষাবাদ তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে শস্য চাষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।