সৌর-বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত তানোর
অসীম কুমার সরকার, তানোর(রাজশাহী) থেকে
এখন সন্ধ্যা নামলেই জ্বলে উঠছে সৌর বিদ্যুতের আলো। ফলে উপজেলার প্রান্তিক পথ-ঘাটও এখন আলোকিত হয়ে উঠছে। সন্ধ্যা নামলেই বিভিন্ন গ্রামের মেঠোপথ, মসজিদ, মন্দির, ক্লাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মোড় ও ছোটখাটো বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জ্বলে উঠছে সৌর বিদ্যুতের আলো।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ৯৯০টি সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে। আরও বসানোর কাজ চলছে। অথচ একটা সময় ছিল সন্ধ্যা নামলেই গ্রামের মেঠোপথ মানেই ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন।
জানা গেছে, উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৯৯০টি স্থানে সোলার হোম সিস্টেম (ডিসি), সোলার এসি সিস্টেম ও স্টিট সৌর বিদ্যুতের বাতি বসানো হয়েছে। এসব বাতির আলোয় আলোকিত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। যার সুফল পাচ্ছেন তানোরবাসী। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার এখন গ্রামীণ সড়কে সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সোলার স্থাপন প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী প্রকল্প। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে মানুষের পাশাপাশি পরিবেশও উপকৃত হচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার। এ উপজেলার গ্রামীণ সড়কে সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে আজ।’
তালন্দ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য হাসান আলী বলেন, ‘আমার এলাকার যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে সেসব স্থানে সৌর প্যানেলের মাধ্যমে আলো পৌঁছানো হচ্ছে। রাতের আঁধারে সৌর বিদ্যুতের আলোয় নিরাপদে মানুষ চলাচল করছে। রাস্তগুলো আলোকিত হওয়ায় এখন রাতে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে গেছে। এখন রাত নামলেই আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামের মেঠোপথ।’
এ ব্যাপারে উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সোলার প্যানেলের বাতি বসানো হয়েছে। এতে উপজেলাবাসী নিরাপত্তাসহ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছেন। এ কাজ চলমান থাকবে।’