হরিরামপুর চরে ফ্রি স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
মানিকগঞ্জ হরিরামপুর থেকে মুকতার হোসেন
বারসিক’র উদ্যোগে হরিরামপুর চরাঞ্চল পাটগ্রামচর আশ্রয়ন প্রকল্পে চরাঞ্চরের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
উক্ত স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সহযোগিতা করেন ডা. তৌফিকুল করিম এম বি বি এস (আরএসএফ)। স্বাস্থ্য ক্যাম্পে শিশু নারী ও প্রবীণসহ মোট ৪৫ জন মানুষকে ফ্রি চিকিৎসাপত্রসহ খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়।
শুরুতেই ডেঙ্গু বিষয়ক ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনমুলক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় চিকিৎসক তৌফিকুল বলেন, ‘এখন শীত এ সময় বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। আর ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন থাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা বিষয়ে পরামর্শৃ প্রদান করেন।
আলোচনায় আরোও অংশগ্রহণ করেন পাটগ্রামচর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ সভাপতি সিদ্দিক মোল্লা, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মুকতার হোসেন, লেছড়াগঞ্জ চর উন্নয়ন কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিনা কর্মৃকার । স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা অংশগ্রহণকারীরা জানান, সরকারি সেবার পাশাপাশি যে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নাই। সে গ্রামগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের মাধ্যেমে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তাছাড়া সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে মানুষের মধ্যে সচেনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাটগ্রামচরে বাড়ি স্থানীয় কৃষক পাটগ্রামচরে বাড়ি আয়নাল হোসেন বলেন ,‘ চরের ৩টি ইউনিয়নে অনেক গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক বা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নাই। এই এলাকার মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য সেবা পেতে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেতে হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালে গর্ভতী নারী, বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর নদী ভাঙ্নের ফলে আজিমনগর ইউনিয়নে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে চরের অনেক প্রান্তিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’ স্থানীয় কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিনা কর্মৃকার বলেন, ‘হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী, আজিমনগর ও লেছড়াগঞ্জ এই ৩টি ইউনিয়ন মুল থেকে বিচ্ছিন্ন অঞ্চল। চরে কোন হাসপাতাল না থাকার কারণে এখানকার মানুষ হরিরামপুর, ঝিটকা, মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুর শহরে চিকিৎসা সেবা নিতে যায়। যা সাধারণ চরের মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। বতর্মানে চরে খুজলী পাচড়া ঠান্ডা কাশি ও অনেক শিশু স্বাস্থ্য পুষ্টি ঘাটতি দেখা যাচ্ছে ।’