‘নদী ভাঙনে আমাদের সহায় সম্বল হারিয়েছি’

সত্যরঞ্জন সাহা ও মুকতার হোসেন হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
পদ্মা নদীর পাড়ের মানুষের জীবন জীবিকা ও উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য ঢাকার নগর দারিদ্র এবং দুর্যোগ সংক্ষমতা প্রকল্পের কর্মরত ষ্টাফদের অংশগ্রহণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বয়ড়া ইউনিয়নের খালপাড় বয়ড়া গ্রামে সম্প্রতি অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে আসেন। উক্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে খালপাড় বয়ড়া গ্রামের কৃষক কৃষাণি, হরিরামপুর যুব সংগঠনের সদস্য, হরিরামপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতির অংশগ্রহণ করেন।


বারসিক’র সমন্বয়াকরী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন পদ্মা পাড়ের পাঠশালা পরিচালক মীর নাদিম, নদী ভাঙন কবলিত মানুষের পক্ষ থেকে কৃষক ছালমা বেগম, রেজিয়া বেগম, নাজমা বেগম, হালিমা, মহিউদ্দিন, ফকরুদ্দিন, বারসিক’র হিসাব ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুপসানা ম্রং, প্রোগ্রাম অফিসার সুদিপ্তা কর্মকার। এছাড়া মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন বারসিক ঢাকা ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর পূজা রানী মন্ডল, হেনা আক্তার রুপা, রুনা আক্তার, মানিকগঞ্জ প্রোগ্রাম অফিসার মাসুদুর রহমান ও সত্যরঞ্জনসাহা, মুকতার হোসেন প্রমুখ।


অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে পদ্মাপাড়ের মানুষের পক্ষে আলোচনা করেন হরিরামপুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি আব্দুল করিম। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বর্ষা ও বন্যা মোলাবেলার উদ্যোগ এবং বিগত ৩০ বছরের নদী ভাঙনের ফলে ভাঙন কবলিত মানুষের জীবন ও জীবিকার ইতিহাস এবং তাদের জীবনের ঘটে যাওয়া নানান প্রতিকুলতা ও জীবনের সংগ্রামের গল্পগুলো তুলে ধেেরন তাঁর আলোচনায়। নদী ভাঙনে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবারিক ও সামাজিক মর্যাদার বিষয়টিও উঠে আসে তাঁর আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘নদী ভাঙনের ফলে আমাদের সহায় সম্বল সব হারিয়েছি। আবার নতুন করে জীবন সংসারের জন্য ঘর বেঁধেছি। আগে সব কিছু সহজ ছিল। নতুন করে যারা পদ্মা নদী ভাঙনের শিকার তারা কোথাও মাটি ভাড়া নিয়ে ছোট টুপরি ঘর তৈরি করে বাস করেন। নদী ভাঙ্গনের ফলে সম্পদ হারিয়েছি, আত্মীয় হারিয়েছি, প্রাণ প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে।’


হরিরামপুরের পদ্মার পাড়ের মতবিনিময় শেষে অংশগ্রহনকারীদের নিকট কাঁঠাল, পেয়ারা, জামবুরা, বেল, ডালিম, আমলক্ষি চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।

happy wheels 2

Comments