তাপদাহ থেকে বাঁচতে ভূমিকা রাখছে সবজি চাষ

রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
পুড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চল, খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে আষাঢ়েও বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচুর তাপদাহ সাথে অসহনীয় গরম। গুরুজনেরা বলছেন, আষাঢ়ে এই রকম দেখেননি আগে। এই খরাতে শুধু মানুষ না, ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই খরা গ্রামে বেশি ধরা দিলেও শহরের বস্তিতে থাকা মানুষের কষ্ট অনেক। কারণ তাদের নিজের বাসা নেই, পানির ব্যবস্থা নেই, বিদ্যুৎ নেই।


আরিফা বেগম পেশা গৃহিণী। রাজশাহীর বহরমপুর বস্তিতে তাদের বসবাস। ভূমিহীন মানুষ, তাই রেললাইন এর ধারে বহরমপুর এলাকায় ঠায় নিয়েছে প্রায় ৫০ বছর থেকে। আরিফা বেগমের ২ ছেলে ১ মেয়ে। স্বামী অটোরিক্সা চালান, ছেলে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী খুব বেশি কর্মঠ না হওয়ায় সংসারে একটু টানাপোড়েন থাকে।


বারসিক’র সহায়তায় ও পরামর্শে বসত বাড়ির সামান্য ফাঁকা জায়গায় সবজি গাছ লাগিয়ে চাষাবাদ করছেন ২ বছর খেকে। সংসারের কাজের মাঝে সবজিগুলোর যতœ করেন তিনি। লাউ, কুমড়া, মরিচ, লেবু, করলা বর্তমানে আছে। এর আগে শীতকালীন সবজি ছিলো। আরিফা বেগম জানান, তাঁর ছোট জায়গায় তিনি এসব চাষ করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে এবং তাকে আর অর্থ দিয়ে এসব কেনা লাগেনা। কিন্তু এই প্রচুর খরাতে কিছু গাছের পাতা ও ২টি গাছ মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘আমার লাউ গাছ যেগুলো টিনের উপর উঠেছে সেগুলোর জন্য অমার ঘরটা বেশ ঠান্ডা থাকে। আমি একটু যতেœর বিনিময়ে সবজিও খেতে পারি আবার প্রচুর তাপদাহ থেকে বাঁচতেও পারি।’

happy wheels 2

Comments