নারীদের তৈরি পিঠায় নেত্রকোনায় বসন্ত উৎসব পালিত
নেত্রকনো থেক সুমন তালুকদার
প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সুরক্ষা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব রক্ষায় নেত্রকোনা অঞ্চলে বারসিক গত ২২ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। ঋতু পরিবর্তনের পালাক্রমে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমন। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যর সাথে খাদ্যবৈচিত্র্যকে প্রদর্শনের জন্য মদন উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বেসরকারী-সরকারি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে সম্প্রতি আয়োজিত হয়েছে পিঠা উৎসবের। পিঠা উৎসবে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও মদন উপজেলা সম্মিলিত যুবসমাজের সদস্যরা নেত্রকোনা অঞ্চলের নারীদের তৈরি করা নানা বৈচিত্র্যর পিঠা নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরি আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। উক্ত পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অর্জন করে বারসিক ও মদন উপজেলা সম্মিলিত যুব সমাজের সদস্যরা। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বারসিক ও সম্মিলিত যুবসমাজের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
মদন এলাকা থেকে ১৫টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পিঠা উৎসবে অংশ নেয়। উৎসবে পিঠার সম্ভারও ছিল বৈচিত্র্যময়। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে বানানো বাহারি নামের পিঠা ছিল মেলায়। মেলায় ৫২ জাতের পিঠা প্রদর্র্শন করা হয়। জামাই পিঠা, তালক্ষীর, পাকান, পুলি, কানমুচুরি, হৃদয়হরণ, ঝিনুক পিঠা, ফুলঝুরি, পাখির বাসা, মাংস সিংড়াসহ নামের পিঠা ছিল উৎসবে। বাড়ি থেকে বানিয়ে আনা পিঠার পাশাপাশি বিভিন্ন স্টলে পিঠা তৈরি করতেও দেখা গেছে।
প্রধান অতিথি স্থানীয় খাদ্যবৈচিত্র্যকে তুলে ধরার জন্য সকলকে প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানান।
পিঠা উৎসবের আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব সৈয়দ ইশতিয়াক উদ্দিন বলেন, ‘এবার আমাদের ১৬তম আয়োজন। উৎসবে মানুষের সাড়া দেখে আমরা অভিভূত। অনেক দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হরেকরকমের পিঠার সমাহার নিয়ে এখানে স্টল দিয়েছে।