হালিমা খাতুন পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন

সাতক্ষীরা থেকে ফাতিমা আক্তার

স্বামীর সাথে পারিবারিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন নারীরা। তেমনই একজন উদ্যোগী নারী হালিমা খাতুন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামের হালিমা খাতুন (৩১) স্বামী ও দুই সন্তানসহ চার সদস্যের সংসার তাঁর। স্বামী কবির সরদার (৩৭) পেশায় দিনমজুর ও বনজীবী। সংসারের নানাবিধ কাজের পাশাপাশি বাড়ির প্রাণীসম্পদ ছাগল ও হাঁস, মুরগি দেখাশুনা এবং কৃষি কাজে সহযোগিতা করেন তিনি। 

হালিমা খাতুন একটি ছাগল বিক্রি করেন আট হাজার টাকায়। টাকাগুলো সঞ্চয় করে পরবর্তীতে সেই টাকা তুলে নিজের বসতঘর তৈরির কাজে ব্যয় করেন। বিয়ের পর থেকে হালিমা খাতুন স্বামীর সংসারে এসে অনেক কষ্ট করে দিনাতিপাত করছেন। 

তবে ২০২১ সালে অক্টোবর মাসে নেটজ পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট জাস্টিস’র সহযোগিতায় বারসিক’র বাস্তবায়নে পরিবেশ প্রকল্প শুরু হলে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী গ্রামে পায়রা সিএসও দলে যুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক আলোচনায় সভা, প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ধারাবাহিক অংশগ্রহণ করে আসছেন। দলে যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরে বারসিক পরিবেশ প্রকল্প থেকে উৎপাদনশীল মূল সম্পদ হিসাবে তাকে ২টি ছাগল সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও তাকে একটি কদবেল ও পেয়ারার চারা, কিছু বর্ষাকালীন বীজ ও চারটি হাঁস সহযোগিতা করা হয়। সহযোগিতা পাওয়ার পর থেকে সম্পদগুলো তিনি পরম মমতায় লালন পালন করেন।

তিনি মনে করেন ছাগল লালন-পালন করা খুব সহজ ব্যাপার না। এগুলো ভালোমত দেখাশুনা বা পরিচর্যা করতে পারলে এগুলো বাড়ানো যায়। রোগ ব্যাধি থাকার জায়গা খাবার-দাবার সবদিকে নজর রাখা লাগে। তিনি নিজের সাহস ও পরিশ্রমে স্বযতেœ ছাগলের একটি খামার গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে তিনি ১০টি ছাগলের মালিক,  যা কিনা তাঁর পারিবারিক আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পথ সম্প্রসারিত হবে। তার ছাগলের ঘরটি চমৎকার। উপরে গোলপাতার ছাউনি এবং নিচে মাচা করে রাখা। যে কারণে ছাগলগুলো ভালোভাবে বাস করতে পারে।
পারিবারিক উন্নয়নে নারীরা যেভাবে ভূমিকা পালন করছেন তার একটি অনন্য উদাহরণ হচ্ছে হালিমা খাতুন।
happy wheels 2

Comments