ছাগল পালনে স্বচ্ছলতার পথে রেহানা খাতুন
oplus_0

ছাগল পালনে স্বচ্ছলতার পথে রেহানা খাতুন

সাতক্ষীরা থেকে মুকুন্দ কুমার ঘোষ

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা ইউনিয়নের নারী রেহানা খাতুন (২৮)। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট রেহানা খাতুন। বাবার র্আথকি অসচ্ছলতার কারণে ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামীর দুই বিবাহ। রেহানা খাতুনের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে জাহানারা (১০) ৫ম শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে আসমা (৬) প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। স্বামী ছাড়া আলাদা থাকে। দুই সন্তান নিয়ে দিনমুজুর ও নদীর থেকে জোংড়া খুটে অনেক কষ্টে দিন চলে।

oplus_0

২০২১ সালে অক্টোবর মাসে নেটজ্ পার্টনারশিপ ফর ডেভেলপমেন্ট জাষ্টিস এর সহযোগিতায় বারসিক’র বাস্তবায়নে পরবিশে প্রকল্প শুরু হলে গাবুরা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামে দোবেকি সিএসও দলে যুক্ত হয় রেহানা খাতুন। দলে যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরে বারসিক পরিবেশ প্রকল্প থেকে তার পারিপারিক ও ব্যবসায়িক উন্নয়ন পরকিল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেই সময় তিনি বলেন, “আমি ছাগল পালন করতে চাই।’ যার প্রেক্ষিতে মূল সম্পদ হিসেবে ৩টি ছাগল সহযোগিতা করা হয়। পরিবেশ প্রকল্প থেকে একই সাথে দুইটা ফলের চারা (কদবেল ও সবেদা) কিছু বীজ ও ৫টি হাঁসও ৪টি মুরগি সহযোগিতা করা হয়।

রেহানা খাতুন বলনে, “বারসিক’র নিয়মিত সাপ্তাহিক মিটিং প্রশিক্ষণ ও পরার্মশ পেয়ে নিজের সম্পদের (ছাগল পালন) প্রতি বেশি যতœশীল হই। আমি ৭টি ছাগলের মালিক।’ এছাড়াও তার বাড়ীতে ১০টি হাঁস আছে এবং ৫টি মুরগি আছে। বসতভিটায় সীমিত জায়গাতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে নিজের পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারেন বলে তিনি জানান। রেহানা খাতুন নদী থেকে জোংড়া খুটে কিছু টাকা সঞ্চয় জমা করে এবং পরিবারের খরচ চালান।

রেহানা খাতুন এখন স্বপ্ন দেখছেন ৪টি ছাগল বিক্রি করে নিজের বসত ঘরটি ঠিক করবেন। তিনি বারসকি পরবিশে প্রকল্পকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানান।

happy wheels 2

Comments