সাম্প্রতিক পোস্ট

একজন সুকিলা বেগমের নেত্রী হওয়ার গল্প   

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন

রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের দিঘীপাড়া ছোট একটি গ্রাম। দিঘীপাড়া গ্রামে ৪০টি পরিবার রয়েছে। ২০২১ সাল থেকে এই গ্রামে বারসিক বিভিন্ন ধরনের সভা, সেমিনার, সচেতনতা ও পরামর্শমূলক কাজ করে যাচ্ছে।

কাজের ধারাবাহিকতায় সুকিলা বেগমের সাথে পরিচয় হয় বারসিক। তাঁর  স্বামী মোঃ বাবলুর রহমান এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তাঁর সংসার। স্বামী পেশায় কৃষক ও ভ্যান চালক। তাদের বসতভিটার পরিমাণ ৫ শতক। আবাদি জমির পরিমাণ ১০ কাঠা। বর্গা জমি নিয়ে বিভিন্ন রকম ফসল চাষাবাদ করেন তারা। বাড়ির পাশে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় মৌসুমকালিন সবজি চাষাবাদ করেন তিনি।

দিঘীপাড়ায় বারসিক’র কাজের পরিপ্রক্ষিতে জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী দিঘীপাড়া নারী সংগঠন নামে সংগঠন তৈরি করা হয়। সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ৩০ জন। সুকিলা বেগমকে সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সুকিলা বেগম খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। তিনি সকলের বিপদে আপদে এগিয়ে আসেন। তার চলন বলন কথা বার্তা সব কিছু ভালো দেখে তার পাড়ার মানুষ অভিমিত হয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য উদ্যোগী করে তোলেন। সকলের আত্মাবিশ্বাস ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি নির্বাচনে দাঁড়ান। গ্রাম ও সংগঠন ও তার পরিবারের সবাই মিলে তার ভোটের প্রচার প্রচারণা করেন। তিনটি ওয়ার্ডে সবাই তাকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগায়। পাশাপাশি তার পরিবার থেকে যথেষ্ট সমর্থন ছিলো।

সুকিলা বেগম বারসিক’র জেন্ডার, নেতৃত্ব এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কয়েকবার। সংগঠনের সভাপতি সুকিলা বেগম সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে সকলে মিলে বিপুল ভোটে জয়ী করান। বর্তমানে তিনি সংরক্ষিত ৩ টি আসনের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কৃষাণী আগে পরে ইউপি সদস্য। আমি জনগণের জন্য নির্বাচিত হয়েছি জনগণ আমায় উপযুক্ত নেতা বলে ভোট দিয়েছেন। আমি সব সময় সঠিকভাবে নেতৃত্ব দানের চেষ্টা করবো। 

happy wheels 2

Comments