হাজল ব্যবহারে নারীদের আগ্রহ ও উদ্যোগ বেড়েছে
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ছোট একটি গ্রাম দিঘী পাড়া। দিঘী পাড়া গ্রামে বারসিক বিগত এক বছর ধরে বিভিন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এপাড়ার জনগোষ্ঠী বারসিক’র কার্যক্রমগুলোর সাথে নিজেদের উদ্যোগে অংশগ্রহণ ও মতামত দিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। বারসিক এখানকার জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি পুষ্টি বাড়িতে বীজ বিনিময় করতে গিয়ে সেখানকার নারীদের সাথে হাজল তৈরি ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়।
‘হাজল’ নামটি দীঘিপাড়া গ্রামের নারীদের কাছে নতুন মনে হয়। নাম শুনে তাঁরা এটা কীভাবে ব্যবহার করা হয়, কী কাজে লাগে ইত্যাদি বিষয় জানতে চান। তার আগ্রহের ভিত্তিতে বারসিক লোকায়ত পদ্ধতিতে মুরগির ডিম ফোটানোর জন্য হাজল প্রশিক্ষণ কর্মশালা করে। প্রশিক্ষক হিসেবে হাজল তৈরি করে দেখান পুষ্টি বাড়ির নারী বেলি। কর্মশালায় ৩৩ জন নারী ও দু’জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় হাজলের উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে হাতে কলমে আলোচনা হয়। তাদের মধ্যে নুরেমা নামে একজন নারী বলেন, ‘আমরা মুরগি বসানোর পাত্রকে খুনচা বলি। আমরা খুনচায় মুরগি বসায়। সেখানে খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকবে না। তাই মুরগিকে কমপক্ষে দিনে দু’বার বের করি। আর হাজলে খাবার ও পানির ব্যবস্থা থাকায় মুরগি বাইরে যাবে কম বিধায় ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফোটাতে পারবে ‘
হাজল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা ১৭ জন্য নারী উৎসাহিত হয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাজল তৈরির উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। সংগঠনের আরও একজন সদস্য নাজমা বলেন, ‘হাজল তৈরিতে কোনো টাকা খরচ হবে না। আবার উপকারও বেশি। তাহলে তৈরি করতে সমস্যা কি। তাছাড়া এই পদ্ধতি আমাদের পছন্দ হয়েছে। আমরা নারীরা মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ হবো এরকম কৌশল জানা থাকলে। আমরা নিজেরা ব্যবহার করবো ও অন্যদেরকে ব্যবহারে উৎসাহিত করবো।’