মানিকগঞ্জে নতুন আবহাওয়ায় শিশুসহ অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন

আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) ॥

ভোরে কুয়াশা, দিনে গরম আর রাতের বেলা বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিনে-রাতে তিন রকম আবহাওয়ার এই বৈরীবস্থায় ঘিওর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের প্রায় সর্বত্রই মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আবহাওয়ার রকমফের নিয়ে এমন আলোচনা এখন মানিকগঞ্জবাসীর মুখে মুখে।
সবুজ ঘাসের উপর সকালের শিশির মানিকগঞ্জে শীতের আগাম আগমনের বার্তা জানান দিচ্ছে গত সপ্তাহখানেক ধরে। ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অফিস, দিনমজুরিসহ সকলেই পড়েছেন বিপাকে। এখনও শীত না পড়লেও ভোরে শ্রমজীবী মানুষদের অনেককে চাদর ও গরম কাপড় গায়ে দিতে দেখা গেছে।

তবে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, রাজধানী ও এর আশেপাশে শীত আসতে এখনও অনেকটা সময় বাকি। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে শীত শুরু হবে। ভোরে ঘন কুয়াশা, সকাল কাটতে না কাটতেই সূর্যের ঝমকালো হাসি ফুটে উঠছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে শীত অনুভূত হচ্ছে আবার একটু পরেই সূর্যের তাপে শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। তাই শীত গরমের মাঝে পরে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেকে কাশী, জ্বর, ঠান্ডা, বুকে ব্যাথাসহ অনেক রকমের রোগে আক্রান্ত হয়ে পরছেন।

01 (5)

বাসষ্ট্যান্ড সবজি আড়তের আড়তদার আলী হোসেন বলেন, “আমি কাঁচা মালের ব্যবসা করি। তার জন্য প্রতিদিন ভোরবেলা আড়তে মাল কিনতে আসতে হয়। কয়েক দিন যাবত কুয়াশার কারণে ঠান্ডা লাগে তাই গরম কাপড় পরে আসি। আবার সকাল ৯টা ১০টা বাজার পর সূর্যের তাপে ক্লান্তি অনুভব হয়।

মোঃ আজাদ হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি বলেন, “আমি একটি কোম্পানিতে সেলস অফিসার পদে চাকরি করি। অফিসের কাজে প্রতিদিনই বিভিন্ন উপজেলায় যেতে হয়। সকালে রওনা হওয়ার সময় ঠান্ডা লাগলেও সকাল কাটতে না কাটতেই গরম লেগে যায়। হঠাৎ করে আবহাওয়া রদ-বদলের কারণে ঠান্ডা লেগে যায়। পরে আমি হাসপাতালের ডাক্তার দেখিয়েছি।”
ঘিওর উপজেলার রাথুরা গ্রামের গৃহবধূ লতা খানম বলেন, “গত কয়েকদিন যাবত আবহাওয়ার পরিবর্তনে, আমার পরিবারের ৩ সদস্যই ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছি।”

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আর.এম.ও ডা. মো. লুৎফর রহমান জানান, শিশুসহ সব বয়সের মানুষ, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসা নিতে আসছে। তিনি বলেন, “কুয়াশার কারণে শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তাই সকালে কোয়াশা থাকা পর্যন্ত শিশুদের বিছানা থেকে উঠাতে দিবেন না। ঠান্ডা থাকা অবস্থায় সকলে গরম কাপড় পরে বের হবেন। নাক মুখ দিয়ে যাতে করে কোয়াশা না ঢুকতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হবে।

happy wheels 2

Comments