সবার নজর কেড়েছে দেওধান
কলমান্দা নেত্রকোনা থেকে অর্পনা ঘাগ্রা, গুঞ্জন রেমা ও খায়রুল ইসলাম অপু:
নেত্রকোনার কলমাকান্দার উন্নয়ন মেলায় এবারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল দেওধান। উন্নয়ন মেলা দেখতে আসা সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে এই বিরল জাতের ধান নজর কাড়ে। এই ধানবীজ এ বছরই প্রথমবারের মত অত্র এলাকায় পাতলাবন গ্রামের কৃষক আদ্রিয় রেমা চাষ করেছিলেন। বারসিকের স্টল পরিদর্শন করতে আসা অধিকাংশই দেওধান সম্পর্কে জানতে চান এবং তারা এটি প্রথমবারের মত দেখছেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকারী ভাবে এটি উৎপাদন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ১১-১৩ জানুয়ারী উপজেলা মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে পর্যন্ত ৩দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেজ লা ২০১৮। এই উন্নয়ন মেলায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের পাশাপাশি বারসিক কলমাকান্দা রিসোর্স সেন্টার অংশগ্রহণ করেছে। স্থানীয় জাতের ধান বীজ বৈচিত্র্য, সবজি বীবৈচিত্র্য, বিভিন্ন ধান সম্পর্কে তথ্য সংবলিত কার্ড, হার্বেরিয়াম, ফেস্টুন ও নানান প্রকাশনা দিয়ে স্টলটি সুসজ্জ্বিত করা হয়।
বারসিক এর স্টল পরিদর্শনে এসে সহকারী কৃষি অফিসার অজয় কুমার মজুমদার বলেন, আমি স্থানীয় জাতের হারিয়ে যাওয়া ধান নিয়ে গবেষণা করছি। আর এই জন্যই আমি স্থানীয় জাতের ধানগুলো খুঁজে বেড়াচ্ছি। আজ এই মেলায় এসে আমি সেগুলো খুঁজে পেলাম। আশাকরি, এইগুলো ব্যাপকভাবে চাষের ক্ষেত্রেও বারসিক আরো উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দা চাঁদ সুলতানা বলেন, বারসিকের স্টলে এসে বাংলার সংস্কৃতিকে খুঁজে পেলাম। এখানে অনেকগুলো বিলুপ্ত প্রায় ধান বীজ রয়েছে। আর সেগুলো গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশের আদলে সজ্জ্বিত করা হয়েছে। রাধুনীপাগল ধানের উপস্থাপনাতে গ্রামীণ নারীর চিত্র ফুটে উঠেছে। যা সত্যিই মুগ্ধ করার মত।
তিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রতিদিনই ছিল আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগীতা, বিতর্ক প্রতিযোগীতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৩য় দিনে বারসিক কলমাকান্দা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে। উন্নয়ন মেলার সমাপনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আশরাফুল ইসলাম সিদ্দিক, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চন্দন বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুলতান গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পপি রানী তালুকদার, উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার সৈয়দা চাঁদ সুলতানা এবং আরো অনেকে।