আবারও বিষধর রাসেল ভাইপর সাপের দেখা মিলল রাজশাহীর ললিত নগরে
রাজশাহী থেকে মো. জাহিদ আলী
রাসেল ভাইপার-ভাইপার গোত্রের বিষধর সাপদের মধ্যে অন্যতম। বিলুপ্তপ্রায় ভয়ংকর এই সাপটি আবার দেখা মিলেছে আজ ৯ জুলাই রাজশাহীর ললিত নগরের মাকরান্দা গ্রামে । গতবছর নভেম্বরে সাপটির দেখা গিয়েছিল রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার চৌরখোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ঘেওর গ্রামে ।
২০১৩ সালে বরেন্দ্র অঞ্চলে রাসেল ভাইপার প্রথম দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বরেন্দ্রা গ্রামে এই সাপটি প্রথম কামড় দেয় আনোয়ার নামে দশম শ্রেনীর একজন ছাত্রকে। এ যাবত এই সাপের কারণে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সাপটির বিষয়ে লতিত নগরের মাকরান্দা গ্রামের আমান ফিড ফ্যাক্টরীর ইলেকট্রিক ফোরম্যান ইকবাল হোসেন জানান, তিনি দুপুরে মুরগী শেডের পাশের ড্রেনে সাপটি নজরে আসে, তাৎক্ষণিক তিনি কয়েকজনের সহায়তা সাপটি ধরে ফেলেন। বর্তমানে সাপটি একটি প্লাষ্টিকের ড্রামে রাখা আছে। এ বিষয়ে ইকবাল হোসেন জানান, সাপটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করতে সংশ্লিস্টদের কর্তপক্ষকে আহবান জানান। যাতে এর কারণে কোন মানুষের ক্ষতি না হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বারসিকের কর্মসুচী কর্মকর্তা জাহিদ আলী বলেন, ২০১৩ সালে আমাদের কর্র্ম এলাকা বরেন্দ্র গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে আনোয়ার (১৬) কে প্রথম এই সাপে কামড় দেয়। ১০ দিন রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসার পর সে মারা যায়। এরপরবর্তী তানোর উপজেলার মুন্ডমালা ও গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলা গ্রামে এই সাপের কামড়ে ৪ জন মারা যায়।”
তিনি জানান, জনসচেতনার জন্য তারা ২০১৫ সালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডমালা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে ও ২০১৬ সালে গোদাগাড়ী উপজেলায় কুমুরপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে দুইটি জনসংলাপ করেছেন। এই সাপের কামড়ে রোগীর কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে এই সাপের চিকিৎসা রাজশাহী মেডিকেলে হয়। সর্বশেষ গোদাগাড়ীর বিয়ানাবোনা গ্রামের একজন স্কুল শিক্ষক নিমতলী গ্রামে একজন ছাত্র এই সাপড়ের কামড়ের পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন।