বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই
মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকরিভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। জতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিক তার কর্মএলাকায় কমিউনিটিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ও স্কুলভিত্তিক নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে গত ৯ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল ঘোনাপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও বারসিক’র যৌথ আয়োজনে মহিয়সী নারী বেগম রোকেয়া দিবসে নারীর ক্ষমতায়ন বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধে স্কুলভিত্তিক কুইজ ও আন্তঃপ্রজন্ম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হাজী নুরুল ইসলাম কম্পানির সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিংগাইর উপজেলা সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সহিদুল ইসলাম সরকার, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. বাবুল চৌধুরী ,বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন বারসিক কর্মকর্তা রিনা আক্তার।
বক্তারা রোকেয়া দিবসে মহিয়সী নরী বেগম রোকেয়ার জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করেন। তারা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল সাহসিকতা, নিজের প্রতি মনোবল ও বিশ্বাস। তিনি শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে একাধিক ভাষার উপর জ্ঞান অর্জন করেন। রক্ষণশীল পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও ভাই বোন ও স্বামীর সহযোগিতায় নিজকে আসীন করেন উচ্চতর শিখরে। নারী জাতির কাছে রেখে যান আলোক শিখা।’
তারা বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমরা যখন নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি, বাল্য বিবাহ ও নারী নির্যাতন রোধ করতে পারিনি। আজকের দিনে বেগম রোকেয়াকে স্মরণ করে আমরা প্রত্যয় করব পরিবার থেকেও যদি বাল্য ব্বিাহের ব্যবস্থা করা হয় প্রথমে নিজে প্রতিবাদ করবো। সমাধান না হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করব, কেউ সামাজিকভাবে সহিংসতার শিকার হলেও শ্রেণী শিক্ষককে জানাব এবং নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থেকে মোকাবেল করব। নারী ও পুরুষ একসাথে সহমর্মিতার ভিত্তিতে সহঅবস্থান করব এবং সকলের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে কাজ করব।’
আলোচনা শেষে কুইজে অংশগ্রহণকারী নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।