নতুন পোশাকেই এখন স্কুলে যাবে আমিনা
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)।।
নতুন ক্লাসে ওঠলেও নতুন পোশাক ছিলো না শিশু আমিনা আক্তারের। চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী আমিনা প্রতিদিন স্কুলে যেত পুরাতন আর ছেড়া পোশাক পড়েই। অথচ আর দশজন শিশুর মতোই নতুন ক্লাসে নতুন পোশাক পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিলো তার মধ্যেও। মা-বাবাহীন দরিদ্র আমিনার সেই স্বপ্ন পুরণে পাশে দাঁড়ালো একটি সামাজিক সংগঠন। নতুন স্কুল ড্রেস,জুতা,সারা বছরের খাতা-কলম আর শীতবস্ত্র দিলো সংগঠনটি।
সম্প্রতি দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কুস্তা গ্রামে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমিনার হাতে এই পোশাক,খাতা-কলম ও কম্বল তুলে দেন।এসময় ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.অহিদুল ইসলাম(টুটুল),জাগো বাংলা ইয়ুথ সোসাইটির সভাপতি সাংবাদিক বি.এম খোরশেদ,সহ-সভাপতি তাসলিমা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন মনো,কোষাদক্ষ রফিকুল ইসলাম,মো.আজিজুল,আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। নতুন পোশাক ও খাতা-কলম পেয়ে খুশিতে আত্বহারা হয় আমিনা।কৃতজ্ঞতা জানান তার দাদীও। ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল দাদী হাজেরা বেগমকে একটি বয়স্কভাতার কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
ঘিওর উপজেলার কুস্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমিনা আক্তার। জন্মের পর বাবার মুখও দেখতে পাননি তিনি। বাবা নিখোঁজ ১১ বছর ধরে। মাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন স্বজনরা। এরপর থেকেই বাবা-মায়ের আদর বঞ্চিত আমিনা দাদী হাজেরা বেগমের কাছেই থাকেন। বিধবা হাজেরা বেগমের বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন যাওয়ার পর নাতীনকে নিয়ে থাকেন অন্যের জমিতে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে দাদী-নাতনীর। তাই নাতীনকে নতুন পোশাক কিনে দেয়া অসম্ভব ছিলো হাজেরা বেগমের কাছে।