প্রবীণ ও প্রতিবন্ধিদের সামাজিক সুরক্ষায় প্রবেশাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভা
ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বারসিকের উদ্যোগে কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর সেমিনার কক্ষে বস্তিবাসী নেত্রী আসমানী বেগমের সভাপতিত্বে প্রবীণ ও প্রতিবন্ধিদের সামাজিক সুরক্ষায় প্রবেশাধিকার শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা মোহাম্মদপুর আদাবর ও শেরেবাংলা জোনের কর্মকর্তা কে এম শহিদুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন বারসিকের সমন্বয়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল ও সুদিপ্তা কর্মকার।
আলোচনা সভায় জনাব কে এম শহিদুজ্জামান বলেন, সমাজসেবা কার্যালয় এদেশের সকল মানুষের জন্য নিবেদিত। সরকারের যেকোন সামাজিক সুরক্ষার সুবিধাদি আপনাদের জন্যই। তিনি, বস্তিবাসীদের আরও সমাজসেবা কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, অনেকেই সুবিধার আওতায় পড়লেও তারা সঠিক তথ্য না জানার জন্য সুবিধা বঞ্চিত হয়। তাই সকলকে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সঠিক তথ্যটি জানতে হবে। আর এজন্য আমরা আন্তরিক ভাবে আপনাদের স্বাগত জানাই। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজ করছেন, বড় বড় প্রকল্প যেমন পদ্মা সেতু, কর্নফ’লী ট্যানেল, মাতারবাড়ী পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমুদ্র বন্দর, মেট্রো রেলের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। একজন প্রধান মন্ত্রী একা একা কাজ করছেন, তার কাজে আমাদেরও সহযোগিতা করতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই দেশের উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখতে পারি নিজ নিজ জায়গা থেকে। যেমন আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের আশেপাশের জায়গা পরিস্কার পরিছন্ন করতে পারি, আমরা বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারি, ইভ টিজিং,বহুবিবাহ বন্ধ, জন্মনিয়ন্ত্রনের জন্য কাজ করতে পারি, যে সব ছেলে মেয়ে স্কুলে যায় না তাদেরকে স্কুলে পাঠাতে পারি। এমনকি আমরা যারা লেখাপড়া জানি না তারা তো নিজের নাম লেখা শিখতে পারি। আমাদের এই প্রধান মন্ত্রীই বয়স্ক ভাতা চালু করেছেন এবং সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করছেন। সুতারাং আমাদের সকলকেই তার কাজে সহযোগিতা করে যেতে হবে।
মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৮ জন বয়স্ককে ভাতার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রেরণ করেছি এবং তাদের আবেদন পত্র গৃহীত হয়েছে। আমরা আশা করি এ অর্থ বছর থেকে তারা বয়স্ক ভাতা পাবেন। তিনি সমাজসেবা কর্মকর্তাকে বস্তিবাসী নিম্ন আয়ের মানুষদের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।
আলোচনায় প্রবীণ ব্যক্তিরা নানান প্রশ্ন করেন সমাজসেবা কর্মকর্তাকে এবং তিনি ধৈর্য্য ধরে সকল প্রশ্নে উত্তর প্রদান করেন। আলোচনা সভায় বস্তিবাসী প্রবীণদের পক্ষ থেকে ২১ জন অংশগ্রহণ করেন।