সবুজায়নের লক্ষ্যে নিবিড় বনায়ন
কলমাকান্দা নেত্রকোনা থেকে গুঞ্জন রেমা
নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের পাতলাবন গ্রামে জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে ও পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজায়নের লক্ষ্যে ৩৩৫টি গাছের চারা (কৃষ্ণচূড়া, কাঠবাদাম, পলাশ, সোনালু, কাঞ্চন, হরতকি, আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জলপাই, আমলকি) রাস্তার দু’পাশে রোপণ করা হয়েছে।
বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলহাজ্ব ফারুক আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম খসরু এবং বারসিক’র কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের সহযোগী হিসেবে ছিলেন স্থানীয় আদিবাসী নারী পুরুষ। বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে ফখরুল আলম খসরু বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের কোন বিকল্প নাই, গাছ হলো অর্থনৈতিক মুক্তি উপায়। কৃষিবিদ আলহাজ্ব ফারুখ আহম্মেদ বলেন, ‘পতিত জমি ফেলে না রেখে এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে সেটি হতে পারে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে অথবা কোন ফসলের আবাদ করে, পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য ফলদ বৃক্ষরোপণ করা খুবই জরুরি আর শুধু রোপণ করলে হবে না রোপণের পর বছরে দুইবার বর্ষার আগে ও বর্ষার পরে গাছের গোড়ায় জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে প্রয়োজন অনুসারে, শুকনো মৌসুমে নিয়মিত পানি দিতে হবে।’
পাতলাবন গ্রামটি একটি বালুময় গ্রাম। তাই গ্রীষ্মকালে প্রচুর গরম অনুভূত হয়। ফলে অনেক গরমে বসবাস করতে হয় এ গ্রামবাসীদেরকে। এই বালুময় গ্রামটি সবুজায়নের জন্য অনেকদিন আগে থেকেই জনগোষ্ঠী পর্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে। গ্রামের কয়েকটি বাড়ি তাদের বাড়িগুলো এখন বাসযোগ্য করে তোলেছে অর্থাৎ সবুজায়ন করে ফেলেছে। তবে সেটি পরিমাণে খুবই কম। অধিকাংশ স্থানেই কোন প্রকার গাছ গাছালী নেই। ফলে ধুধু মরুভূমির মত মনে হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ জুন ২০২২ বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার এক পর্যায়ে এসে গ্রামবাসী একটি প্রস্তাবনা দেন বৃক্ষরোপণের জন্য। প্রস্তাবনাটি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে রূপ নেয়। তারই প্রেক্ষিতে মরুময়তা দূরীকরণে ও নিবিড় বনায়নের লক্ষ্যে পাতলা গ্রামে রাস্তার দুই পাশে ফলদ ও শোভাবর্ধনকারী গাছের চারা রোপণ করা হয়।