আপনজ্বালা উদ্ভিদ নিরাপদ খাদ্যের উৎস
বিউটি সরকার, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে
মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। প্রকৃতি কোন কৃপণতা করেনি, উজাড় করে দিয়েছে তার প্রকৃতির ভান্ডার। কিন্তু মানুষের অবহেলার কারণে প্রকৃতির এই ভান্ডার আজ হুমকির সন্মুখীন। তাই প্রকৃতির এই ভান্ডারকে ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যে ‘নিরাপদ খাদ্যের প্রয়োজনে আপনজ¦ালা উদ্ভিদ সংরক্ষণ করি”-এই শ্লোগানের আলোকে সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বায়রা হালদারপাড়ায় আপনজ¦ালা উদ্ভিদের পাড়ামেলার আয়োজন করা হয়েছে।
বারসিক কর্মসূচি কর্মকর্তা বিউটি সরকারের সঞ্চালনায় এবং কৃষাণী রুপসী হালদারের সভাপতিত্বে উক্ত পাড়ামেলায় গ্রামের নারীরা এবং নতুন প্রজন্ম অংশগ্রহন করেন। এছাড়া উক্ত পাড়ামেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন বারসিক সিংগাইর কর্মসূচি সমন্বয়কারী শিমুল বিশ্বাস।
পাড়ামেলার কর্মসূচিতে ছিল আপনজ্বালা উদ্ভিদ উপস্থাপন, আপনজ্বালা উদ্ভিদের গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা ও বৃক্ষ বিতরণ। কার্যক্রমের শুরুতে নারীরা আপনজ্বালা উদ্ভিদ প্রদর্শন করেন। তারা সেচিশাক, দূর্বা, থানকুনি, ঢেকি, পিপুল, তেলাকুচ, কানাইলতা, জংলাকচু, চিনিগুড়া, খসখসে পাতাসহ ২৬ প্রকারের উদ্ভিদ উপস্থাপন করেন । পরবর্তীতে প্রর্দশিত এই আপনজ্বালা উদ্ভিদের গুনাগুণ নিয়ে আলোচনা করেন কর্মসূিচ সমন্বয়কারী শিমুল বিশ^াস ও উপস্থিত নারীরা।
আলোচনায় শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘সুস্থতার জন্য প্রকৃতির জিনিস ব্যবহার ও নিরাপদ খাবার খেতে হবে।’ এছাড়াও তিনি নতুন প্রজন্মকে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন আপনজ¦ালা উদ্ভিদ খাওয়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন। আলোচনায় কৃষাণী রুপসী হালদার বলেন, ‘আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক গাছ রয়েছে যা ভেজালমুক্ত এবং যা খেলে শরীরের রোগমুক্ত হয়। আবার কিছু গাছ রয়েছে যা মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর খাবার।’ আপনজ¦ালা উদ্ভিদ সর্ম্পকে শিল্পী হালদার বলেন, ‘আমরা এখন বাজারের উপর নির্ভরশীল কিন্তু আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক নিরাপদ খাবার রয়েছে যা অবহেলিত হচ্ছে আমরা তা আগাছা মনে করি।’ তিনি সবাইকে তা সংরক্ষণের আহবান জানান। আপনজা¦ালা উদ্ভিদের উপকারিতায় কৃষাণী কল্পনা হালদার বলেন, ‘আপনজ¦ালা উদ্ভিদ নিরাপদ খাদ্যের উৎস।’
উপস্থিত সকলে সপ্তাহে অন্তত একদিন আপনজ¦ালা উদ্ভিদ খাওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। সবশেষে পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য উপস্থিত সবাইকে দেশী