সাম্প্রতিক পোস্ট

হরেক রকমের ফসল উৎপাদনে যুক্ত আফরোজা বেগম

সাতক্ষীরা থেকে আব্দুল আলীম

অভাব এবং বাবা মায়ের অনেক সন্তান থাকায় কোন ভাইবোনের কপালে পড়ালেখা শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় পার্শ্বেখালি গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর মিন্টু শেখের সাথে। স্বামী দিনমজুর হওয়ায় একটি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চলছিল প্রতিদিনের সংসার। ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের দিকে বাড়িতে আসেন নেটজ্ বাংলাদেশের সহযোগিতায় বারসিকের বাস্তবায়নে পরিবেশ প্রকল্পের এক প্রতিনিধি। সুত্র ধরে যুক্ত হন পরিবেশ প্রকল্পের গরান সিএসও তে। বাড়িতে প্রাণীসম্পদ বলতে ছিল কিছু হাঁস মুরগি। নিজেও দিনমজুর খেটে সংসার চালাতেন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পার্শ্বেখালি গ্রামের আফরোজা বেগম।

প্রকল্পের সুবিধা অনুযায়ী আয়বর্ধনমূলক সম্পদ হিসেবে আফরোজা বেগম নিয়েছিলেন ১১ হাজার ৮শ’ ১০ টাকার চাউল কুড়ার ব্যবসা, ১১৫ টাকার একটি ছফেদা ও একটি কদবেলের চারা। হাঁস ও মুরগি নিয়েছিলেন ১৫৬৯ টাকার। পরিবেশ প্রকল্পের সাপ্তাহিক সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন ও আলোচনা শোনেন এবং তা নিজের পরিবারের কাজে লাগাতে থাকেন। এক এক করে বাড়িতে বসে চাউল কুড়ার ব্যবসার সাথে সাথে নানামুখি আয়ের উৎস তৈরি করতে থাকেন। এখান থেকে অল্প অল্পকরে জমানো টাকা দিয়ে মেয়ের বিয়েতে স্বামীকে সহযোগিতা করেছেন তিনি। বাড়িতে অনেকগুলা হাস, মুরগির লালনপালন শুরু করেছেন, শুরু করেছেন কবুতর পালন এবং নিজের ৪/৫ শতকের ভিটার উপর নিরাপদ শাকসবজি (টমেটো, বেগুন, মরিচ, লাউ, কুমড়া, ঢেড়স, ধুন্দল, ঝিংগাসহ বিভিন্ন অচাষকৃত শাক) চাষ করছেন। বাড়ির সীমানায় লাগিয়েছেন বিভিন্ন ফলের গাছ। বাড়ির রান্নার উচ্ছিষ্ট অংশ, হাস মুরগির বিষ্ঠা দিয়ে শাকসবজি করছেন।

অল্প জায়গায় নানামুখি আয়ের উৎস তৈরি করছেন আফরোজা বেগম। আফরোজা বেগম পরিবেশ প্রকল্পের মাধ্যমে এগুলো জেনে পরিবারের পুষ্টি যোগাতে সক্ষম হচ্ছেন এবং তার পরিবার নিয়ে ভালো আছেন।

happy wheels 2

Comments