ফসল উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণে অভিজ্ঞ মাজেদা বেগম
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
বস্তির মানুষগুলো আগে জানতেন না কিভাবে বাড়ির সামান্য জায়গাগুলো ব্যবহার করা যাবে আর কিছু মানুষ জানলেও কিভাবে অধিক হারে ব্যবহার করা যায় সেটা তারা জানতেন না। জায়গাগুলো পড়েই থাকতো। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যেত সামান্য দুই একটি গাছ যেমন পুঁই বা লাউ এরকম গাছ লাগাতেন। আর বেশিরভাগই লাগাতেন ফুল গাছ। এখন অধিক হারে সবজি চাষ করার পাশাপাশিও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য জমির চারপাশে ফুল গাছের ব্যবহার করতে শিখেছেন তাঁরা বারসিক’র পরামর্শে ও বীজ বিনিময়ের ফলে।
রাজশাহীর বুধপাড়া বস্তির মাজেদা বেগম। স্বামী ডায়রিয়াতে মারা গেছেন ৬ মাস আগেই। এক ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে তার সংসার। বাসা বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। বারসিক’র বীজ বিনিময়ে ও পরামর্শে এখন তাঁর বসতভিটায় সবুজে ভরপুর। মাজেদা বেগম জানান, তিনি জুন মাসে প্রায় ৪০০ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন। বেগুন, মরিচ, সবুজ শাক, লালশাক, বরবটি এখন নিজের চাষ করা জায়গা থেকেই তুলে খেতে পাচ্ছেন,আর কেনা লাগছে না বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, এছড়াও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারছেন ও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। তিনি লালশাক এর বীজ তৈরির জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন। বর্তমানে শাকগুলো খেয়ে আবার এই বীজ বপন করবেন তিনি। এভাবে লাউ রেখেছেন বীজ তৈরি করার জন্য। অধিক ফসল উৎপাদন ও বীজ সংরক্ষণ আশেপাশের সবার জন্য বড় এক উদাহরণ।