‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি
সাতক্ষীরা থেকে আসাদুল ইসলাম
তিত বেগুন এলার্জি দূর করে, কুলফি শাক রক্ত তৈরি করে, ফোলা রোগ উপশম করে। গাদোমনি শাক রক্ত আমাশয় রোগের উপশম। বউটুনি শাকে আয়রন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কলার থোর হাই প্রেসার রোধে কাজ করে। গিমি শাক ক্রিমি রোগের উপশোম। বেলে শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডুমুরে ডায়বেটিস প্রতিষেধক। মালঞ্চ শাক শরীরের ক্ষত স্থানের ক্ষত সারাতে কাজ করে, আর কচুর পাতা চোখের জন্য ভালো, পেপুল সর্দি-কাশি দূর করে।
এছাড়া রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রাক্ষ্মি, কলমি, দস্তা কচু, হেলাঞ্চ, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, শাপলা, ঘ্যাটকল, কাটানটিশাক পেপুলসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক লতা-পাতা। স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং উপস্থিত অবিভাবকরা এসব শাক লতা-পাতার ওষুধি ও খাদ্যগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল।
সোমবার বেলা ১০টায় সাতক্ষীরা মর্নিং সান-প্রি ক্যাডেট স্কুল ক্যাম্পাসে বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজনে ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস ও বাবর আলী প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন, উক্ত স্কুলের অধ্যক্ষ শেখ আমিনুর রহমান কাজল, সহকারি শিক্ষিকা রুনা লাইলা, সাবিনা ইয়াসমিন, লাকী আক্তার, সেলিনা খাতুন, শারমিন সুলতানা। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের যুব সংগঠক ফজলুল হক, কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর মাহিদা মিজান প্রমূখ।
এর আগে সকাল ৮টায় পুষ্টির ফেরিয়ালাকে নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজ্জার্ক পার্ক থেকে বেসরকারি টিভি চ্যানেল যমুনা টিভিতে সকালের বাংলাদেশ নামক অনুষ্ঠানে লাইভ সম্প্রচার করা করা।