মানিকগঞ্জে টার্কি মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বী তোফাজ্জল

মানিকগঞ্জে টার্কি মুরগীর খামার করে স্বাবলম্বী তোফাজ্জল

আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ ॥

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের (বিএসসি) এক প্রকৌশল ছাত্র টার্কি মুরগির খামার করে দেখছেন সাফল্যের মুখ। তাকে দেখাদেখি এখন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এ পেশায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
লেখাপড়ার পাশাপাশি শখের বশে স্বল্প পরিসরে শুরু করেছিলেন টার্কি খামার। খরচ ওঠার পর প্রতিমাসে ডিম এবং টার্কি বিক্রি করে বেশ আয় করছেন মো. তোফাজ্জল হোসেন নামে এই প্রকৌশল ছাত্র। তিনি সদর উপজেলার জয়রা গ্রামের এনপিআই ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিএসসি ৩য় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের ছাত্র। শুরুতে শখের বশে মাত্র ৩টি টার্কি দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে বাচ্চাসহ ২৬০টি টার্কি রয়েছে। প্রতি মাসে ২০০ কেজি টার্কি তিনি ঢাকাসহ আশেপাশের বাজারে বিক্রয় করেন।

03

মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমি ২০১৭ সালে এ খামারটি ৩টি টার্কি দিয়ে শুরু করি। ইন্টারনেটে টার্কি সম্পর্কে জানতে পেরে আমার এটি পালন করার শখ জাগে। পরবর্তীতে ১১ হাজার টাকায় ৩টি টার্কি ক্রয় করে আমি খামারটি শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে ২৬০টি টার্কি রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, একটি টার্কি বছরে ৮০ থেকে ১২০টি ডিম দেয়।”

ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর একটি মেশিনও ক্রয় করেছেন তিনি। বাচ্চা টারকি ও বড় টারকির জন্য আলাদা আলাদা জায়গা করা হয়েছে। খাবার হিসেবে দেওয়া হয় কচুরিপানা, গম ও ভুট্টা। এখানে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোও হয়। ১ দিন বয়সী টার্কি ২৫০ টাকায় এবং ১ মাস বয়সী টার্কি ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। মানিকগঞ্জের বাজারগুলোতে কেজি প্রতি ৫০০ টাকা করে টার্কির মাংস বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি এ টার্কি খামার করছি। এ খামার থেকে এখন আমার ভালো একটা আয় হচ্ছে, যা দিয়ে আমি লেখাপড়ার খরচ মিটিয়েও বাড়তি টাকা সঞ্চয় করতে পারছি। টার্কি পালন দেশি ও ফার্মের মুরগির চেয়ে সহজ এবং দুর্গন্ধও কম হয়।”

01 (2)

এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. ফরহাদুল আলম বলেন, “আমরা সব সময়ই টার্কি খামারিদের সহায়তা করছি। সুষ্ঠুভাবে খামার পরিচালনা করার জন্য টার্কিকে ভ্যাকসিন দিতে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়।” তিনি আরো বলেন, “এ মাংসে চর্বি নেই, পুষ্টিগুণও অনেক বেশি। সব বয়সী মানুষ টার্কির মাংস খেতে পারে।”

happy wheels 2

Comments