গৃহপালিত পশু পাখি অসময়ের বন্ধু
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম শহিদ
গতকাল (২৪ অক্টোবর) রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল গ্রামে দিনব্যাপী দেশীয় গৃহপালিত হাঁস ও মুরগির টিকার প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। খড়িয়াকান্দি গ্রামের চারজন নারী ও রিশিকুল গ্রামের চারজন নারী ও দুই জন পুরুষসহ মোট ১০ জন এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। রিশিকুল ইউনিয়নের পল্লী পশু চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান উক্ত প্রশিক্ষণটিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করেন।
এই এলাকার অধিকাংশ নারী বাড়িতে দেশীয় প্রজাতির হাঁস ও মুরগি পালন করে থাকেন। এগুলো খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধিও হয়ে থাকে। সমস্যা হচ্ছে প্রতিবছর বিভিন্ন রোগে হাঁস মুরগি মারা যায়। রোগ দেখা দিলে এগুলো বাঁচানোর আর কোন উপায় থাকেনা তারা বলে জানান।
অপরদিকে বৈশ্বিক উঞ্চতা বেড়ে যাওয়ায় খরা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও অসময়ে বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলেও ক্ষতি হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষেই গৃহপালিত পশু পাখি অসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিবারে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই এগুলো প্রতি যতœবান হলে আমাদের পরিবারকে সুরক্ষা দিতে সহায়তা করতে পারবে।
বর্তমানে এসকল রোগ প্রতিরোধের জন্য সরকারিভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে হয়েছে বিভিন্ন ধরনের টিকা। টিকাগুলো উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। রিশিকুল গ্রামের নারীরা বলেন, “আমরা টিকা/ভ্যাক্সিন এনেই বা কি করবো আমরা তো প্রয়োগ করতে পারিনা। ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করার জন্য প্রতিবার ডাক্তার ডাকতে হয় এর জন্য আমাদের খরচও বেড়ে যায়। এ কারণে অবহেলায় আমাদের আর হাঁস ও মুরগির টিকা দেয়া হয়ে উঠেনা।”
নারীদের প্রত্যাশা থেকেই বারসিক এই প্রশিক্ষণ আয়োজনে সহায়তা করে। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা রোগের লক্ষণ, রোগের নাম, টিকার নাম, মেয়াদ এবং হাঁস ও মুরগির বয়স অনুযায়ী প্রয়োগের ধারণা লাভ করেন। ডাক্তার টিকা প্রদানের কাজটি হাতে কলমে দেখিয়ে দেন। সেখানে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী পাঁচটি করে টিকা প্রদান করেন। এখন তারা মনে করেন নিজের বাড়ি ও প্রতিবেশীদের হাঁস ও মুরগির টিকা প্রদানে সহায়তা করতে পারবেন।