সংস্কৃতিকর্মীদের সন্মান ও সন্মানী দুটিই প্রয়োজন

মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম

‘বহুত্ববাদি সাংস্কৃতিক সমাজ বিনির্মাণে সংস্কৃতির মুক্ত চর্চা অব্যাহত থাকুক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গ্রামীণ শিল্পী সংস্থা ও বারসিক’র যৌথ আয়োজনে বারসিক বায়রা রিসোর্স সেন্টার মিলনায়তনে গতকাল গ্রামীণ শিল্পীদের জীবন মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মতবিনিময় সভায় গ্রামীণ শিল্পী সংস্থা বায়রা ইউপি শাখার সভাপতি ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজাহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির জেলা কালচারাল অফিসার সেলিনা সাঈয়েদা সুলতানা আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি, মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ, সিংগাইর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়, সংগঠনের বায়রা ইউপি শাখার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মশিবুল আলম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির আবৃত্তি প্রশিক্ষক শাকিল আহমেদ সনেট, বাউল শিল্পী দেওয়ান পিপল আক্তার, সংগঠনের বলধারা ইউপি শাখার সভাপতি জাহিদুল হক ও সম্পাদক আব্দুল কাদের, বারসিক কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস, মাসুদুর রহমান, শাহিনুর রহমান, গাজী শাহাদত হোসেন বাদল প্রমুখ।


শিল্পীরা তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের সন্মানী ভাতা, শিল্পী পরিচয় কার্ডসহ স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে পারফরমেন্স বৃদ্ধিতে ও প্রদর্শনের সুযোগের জন্য সরকারের প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করে। তারা মনে করেন, শিল্পী হিসেবে যেমন তাদের সন্মান পাওয়া উচিত ঠিক তেমনি জীবিকা নির্বাহের জন্য সন্মানী পাওয়াও তাদের অধিকার। সম্মানিত জেলা কালচারাল অফিসার সেলিনা সাঈয়েদা সুলতানা আক্তার তাদের দাবিগুলো আন্তরিকতার সাথে শুনেন ও দাবিগুলো পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

happy wheels 2

Comments