মানিকগঞ্জে আখ চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ) ॥
মানিকগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভ বেশি পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকেছে মানিকগঞ্জের কৃষকরা। বছরের কার্তিক মাসে জমিতে হালী করে আখের চারা লাগায়। হালীর ফাঁকে ফাঁকে সাথী ফসল হিসেবে চাষীরা সরিষা, মরিচসহ অন্যান্যও ফসলও চাষ করে থাকে। দুই-তিন মাসে এসব ফসল উঠলেও আখ পরিপক্ক হতে সময় লাগে আরো কয়েক মাস। ভাদ্র-আশ্বিন মাসে পরিপক্ক আখ কেটে ফের কার্তিক মাসে নতুন করে চারা লাগানো হয় পরের বছরের জন্য।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি আখ চাষ হয়ে থাকে সিংগাইর উপজেলায়। এবছর জেলায় আখ চাষ হয়েছে ১২৮০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদিত এসব আখ শুধুমাত্র খাওয়ার জাত। সুইং, বোম্বে, গেন্ডারী, কুশুল জাতের এসব আখের চাহিদা রয়েছে সারা দেশেই। জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও চলে যায় এ অঞ্চলের আখ। পোকার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।
কম খরচ ও বেশি লাভ পাওয়া অর্থকরী ফসল আখ চাষ দিন দিন বাড়লেও পোকার আক্রমণের কারণে হতাশায় পড়ছেন আখ চাষীরা। এখন দরকার পোকার হাত থেকে নিস্তার। সরকারিভাবে পোকা দমনে সহায়তা পেলে এক দিকে আখের উৎপাদন বাড়বে, অন্যদিকে অর্থকরি এই ফসল রপ্তানী করে কৃষক লাভবান হবে, দেশও হবে সমৃদ্ধ-এমনটাই মনে করছেন কৃষকরা।