উৎপাদন খরচ কমাতে শ্যামনগরে গম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন কৃষকরা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে গাজী আল ইমরান
সাতক্ষীরার উপকূল শ্যামনগর উপজেলায় গম চাষে সাফল্য অর্জন করেছে কৃষকেরা। বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রেখে উপজেলা সদরের হায়বাতপুর গ্রামে ১৬ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছে হায়বাতপুর সেবা সংগঠনের কৃষকেরা। কীটনাশক ব্যবহারের ফলে দিন দিন জমির গুণগতমান হারিয়ে যাচ্ছে। তাই এবারের বোরো মৌসুমে ধান চাষ না করে গম চাষ করেছে এসব কৃষকেরা।
ধান রোপণ করলে ৩০ বারের অধিক সময় সেচ দেওয়া লাগে কিন্তু গম চাষ করতে সেখানে দুবারেই যথেষ্ট। এছাড়া কীটনাশক দিতে হয় তিনবারের বেশি। অথচ গম চাষে একবারেই যথেষ্ট। ধান চাষে সার ব্যবহার করতে হয় ন্যূনতম ৪ বার সেখানে গম চাষে সার ব্যবহার করতে হয় একবার। পানি সংকটে অনেক কৃষক ধান চাষ করতে না পেরে জমি ফেলানো থাকে। কিন্তু অল্প পানিতেই গম চাষ করা যায় আবার লাভের অংশ কম নয়।
সেবা সংগঠনের সভাপতি ও চ্যানেল আই কৃষি পদকপ্রাপ্ত কৃষক শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত দিনে পানির অভাবে আমরা যেখানে গম চাষ করেছি সেখানে পতিত অবস্থায় থাকতো। আমরা জমির মালিকের কাছ থেকে গম চাষের জন্য ১০০০ টাকা বিঘা প্রতি দিয়ে আমরা জমি নিয়েছি এবং আমরা সাফল্য পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ে কম খরচে গম চাষ অধিক লাভবান হওয়া যায়। আমরা আশা করছি এবার বিঘা প্রতি ১০/১২ মণ গম পাবো।’
খরচের পরিমাণ জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘জমির হারিসহ বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ২০০০ টাকা। ১৬ বিঘা জমিতে ১৬০ থেকে ১৭০ মণ গম পাবো এবং আমরা মণপ্রতি ১০ হাজার টাকা বিক্রির আশা করছি।’ সব মিলিয়ে তারা বিঘা মণপ্রতি ৮ হাজা টাকা লভ্যাংশ অর্জন করতে পারবেন বলে জানা যায়। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি আবুল হোসেন বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার গম চাষ হয়েছে ৫ গুণ জমিতে। গতবারে গম চাষ হয়েছিল ২ হেক্টর জমিতে আর এ বছরে গম চাষের জমির পরিমাণ ১০ হেক্টর।’