বীজঘর থেকে পছন্দের ‘মালশিরা’ সংগ্রহ করছেন কৃষকরা

নেত্রকোনা থেকে রোখসানা রুমি
কৃষকের বীজ, কৃষকের সম্পদ। কৃষকেরা নিজ নিজ ঘরে বীজ সংগ্রহ করে রাখতেন। কিন্তু বর্তমানে কৃষকের ঘরের হাড়ি কলসি থেকে বীজ উধাও হয়ে চলে গেছে কোম্পানির হাতে। তাই আজ কৃষক দিন দিন প্রতারিত হচ্ছে। এবছর কৃষক বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। নিজের সম্পদ হারিয়ে আজ কৃষক দোকানে ও কোম্পানির কাছে হাত বাড়াচ্ছে।


কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের ‘সবুজ শ্যামল কৃষক সংগঠন’। সংগঠনের সভাপতি কৃষক আবুল কালাম। ২০১৫ আটপাড়া উপজেলার ‘তুষাইপাড়ের কৃষক সংগঠন‘র প্রায়োগিক গবেষণার বাছাই করা ধান মালশিরা বীজ নিয়ে নিজ গ্রাম নগুয়াতে চাষ করেন সফল হন। তিনি প্রথমে গ্রামের বীজঘরে সংগ্রহ করেন।


গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল নিজ গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর কৃষকদের সাথে সহভাগিতা করে পছন্দের জাত নির্বাচনের জন্য ‘কৃষক মাঠ দিবস’ আয়োজন করা হলে অংশগ্রহণকারীরা গবেষণাধীন স্থানীয় জাতের ‘মালশিরা’ ধানটি এলাকার মাটি ও আবহাওয়ার জন্য উপযোগি হওয়ায় পছন্দ করেন। তারপর গ্রামের হাওরে ছড়িয়ে পড়ে ধানের বীজ। কৃষক ছুটে আসে কৃষক আবুল কালামের বাড়িতে।


বর্তমানে আশেপাশের ৯ গ্রামের কৃষক মালশিরা ধান চাষ করছেন। গতকাল আবুল কালাম ফসলের হাসপাতাল ও বীজঘরের মাসিক সভায় বীজঘর থেকে ১৯ জন কৃষকের কাছে ৩৮ কেজি মালশিরা ধান বিরতণ করেন। কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘আগামি মৌসুমে চাষ করার পর সমপরিমাণ ধান আবার বীজঘরে ফেরত দিয়ে যাবেন।’
কৃষানি সখিনা আক্তার বলেন, ‘নিজেদের বীজ নিজেরাই সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা কোম্পানির কাছে যেতে চাইনা। আমরা প্রত্যেক নারী গত ৫ বছর ধরে ধান ও সবজীর বীজ নিজেদের ঘরে রাখার চেষ্টা করছি।’

happy wheels 2

Comments