![সততার দোকান : দূর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2017/04/2-604x345.jpg)
সততার দোকান : দূর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন
আসাদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা থেকে:
সতাতার দোকান সমসাময়িক সময়ে বেশ জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য একটি উদ্যোগ। মূলত নতুন প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততার চর্চা এবং দূর্নীতি সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বিদ্যালয়ে একটি দোকানদার বিহীন দোকান থাকে যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশুনার উপকরণ ও হালকা নাস্তা কিনতে পারে। এর মধ্য দিয়ে সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মধ্যে একধরনের সততা চর্চা করা হচ্ছে। যা তাদের পরবর্তী কর্মজীবনে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে প্রত্যাশা করা হয়।
তেমনই একটি সততার দোকান কার্যক্রম শুরু হলো সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকায়। সাতক্ষীরার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মজার স্কুল এর পরিচালনায় এবং সরকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সন্তান মো: আকবার হোসেনের সহযোগিতায় এমনি একটি ব্যতিক্রম দোকানের উদ্বোধন করা হয় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
আজ সোমবার সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ব্যতিক্রম কার্যক্রমটি উদ্ধোধন করা হয়। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি সচিব ও র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মো: আকবর হোসেন, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, নরসিংদীর বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবিবা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উক্ত স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাব্বতুননেছা, শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লা, আনছার আলী মাস্টার, মজার পাঠশালা’র পরিচালক আব্দুর রহিম সহ প্রমূখ।
‘সততার দোকান’ দেখে উক্ত স্কুলের ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাবরিনা ও ১ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নয়ন বাবু জানায়, তাদের এই দোকান খুব ভালো লেগেছে। তারা এখান থেকে মাল নিয়ে যে দাম সেটা আবার রেখে দেবে। তাদের কাছে খুব মজা লেগেছে।
মজার পাঠশালার পরিচালক আব্দুর রহিম জানান, “তাদের এই উদ্যোগটি মূলত শিশুদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য। শিশুদের মধ্যে দূর্নীতি বিরোধী সচতনতা সৃষ্টি করা। এখান থেকে শিশুরা যার যে পন্য দরকার সেটা নিয়ে তার গায়ে লেখা টাকা নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিবে। এখানে কোন দোকানদার থাকবে না। যার ফলে যে যার সততার সাথে পন্য নিয়ে মূল্য রেখে যাবে। এই ধরনের সততার দোকান জেলা অন্য স্কুল গুলোতে পরিচালনা করার ইচ্ছা আছে।”
সততার দোকনের মূল উদ্যোক্তা এবং র্যাব হেড কোয়াটারের সিনিয়র সহকারি সচিব ও র্যাবের নিবার্হী ম্যাজিট্রেট মো: আকবর হোসেন বলেন, “দূর্নীতি দমনে সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে শিশুদের মাঝে সততার অনুশীলন বৃদ্ধি করার জন্য এই উদ্যোগ।”
‘সততার দোকান’ নামে পরিচালিত এই দোকানটি মূলত শিশুদের মধ্যে সততা এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পরিচালিত হবে। আর এর ফলে শিশুকাল থেকেই এই সব শিশুদের মধ্যে দূর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন অনুশীলন হবে। এবং এই শিশুদের সততা ও নিষ্ঠার দেখাদেখি অন্যরা দূর্নীতি না করতে উদ্বুদ্ধ হবে।