ফসলে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবীতে মানববন্ধন
শ্যামনগর থেকে স.ম ওসমান গনী সোহাগ
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার হ্রাসকরণের দাবিতে সম্প্রতি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি ও বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র যৌথ আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সবুজ সংহতির আহ্বায়ক কুমুদ রঞ্জন গায়েন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম এর সদস্য সচিব মো. সাঈদুল ইসলাম, যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটির সদস্য মো. শামীম হোসেন, সোনামুগারী কৃষক-জেলে কল্যাণ সমিতির সভাপতি কোহিনুর বিবি, বারসিক’র সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও সবুজ সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক পীযুষ বাউলিয়া পিন্টু, কৃষক-গবেষক দলের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, কীটনাশক বিক্রেতা অশোক মন্ডল, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক উপদেষ্টা শেখ আফজালুর রহমান।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলছে, যার কারণে আমাদের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। জীববৈচিত্র্য ভালো রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব এজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। রাসায়নিক কীটনাশককে না বলে জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে এ বিষয় সকলে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের ২-৩ ডিসেম্বের রাতে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভুপাল শহরে ইউনিয়ন কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেড নামে একটি পেস্টিসাইড কারখানায় ভয়াবহ রাসায়নিক দূর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল যা ভুপাল বিপর্যয় বা ভুপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি নামে পরিচিত। এটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিল্প বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয় হয়। এতে কারখানার আশেপাশের শহরগুলোর ৫০০,০০০ এরও বেশি মানুষ অত্যন্ত বিষাক্ত মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাসের সংস্পর্শে আসেন। সরকারি হিসাবে এ দূর্ঘ্টনায় ২২৫৯ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন বলে জানানো হয়। তবে মূতের সংখ্যা অনেক বেশি বলে অনুমান করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কীটনাশকমুক্ত একটি মডেল শ্যামনগর উপজেলা গড়ার প্রত্যয়ে এই আয়োজন।