সাম্প্রতিক পোস্ট

গোল সবুজ লাউ সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন

রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা গ্রামটি বরেন্দ্র অঞ্চলের একটি উঁচু স্থান। ২০১৬ সাল থেকে বারসিক এ গ্রামে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভা, রবিশস্য জাত গবেষণা, বৈচিত্র্যময় ধান গবেষণা এবং লাউ জাত গবেষণা।

তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা গ্রামে “তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন” নামে একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের মতামত ও চাহিদার ভিত্তিতে শাহেদা বেগমের মডেল শত বাড়িতে বৈচিত্র্যময় চার জাতের লাউ গবেষণার কার্যক্রম শুরু করা হয়। গবেষণায় স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত চারটি দেশি জাতের লাউ বীজ বপন করা হয়: সবুজ লম্বা লাউ, সবুজ গোল লাউ, সাদা গোল লাউ এবং সাদা লম্বা লাউ

তেঁতুলিয়া ডাঙ্গা খরা-প্রবণ এলাকা হওয়ায় এই গবেষণার মাধ্যমে চাষের জন্য উপযুক্ত ও কৃষকদের পছন্দনীয় জাত নির্ধারণ করা হয়। বীজ বপনের ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল ও ফল আসা শুরু করে। শাহেদা বেগম তার লাউ চাষ থেকে নিজ পরিবারের খাদ্যচাহিদা পূরণের পর প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিনিময় করেন এবং বাকি অংশ বাজারে বিক্রি করেন। চারটি মাঁচা থেকে মোট ৫,৫০০ টাকার লাউ বিক্রি হয়।


গবেষণা প্লটে প্রতিটি জাত আলাদাভাবে রোপণ ও মাঁচা তৈরি করা হয়। তেঁতুলিয়া ডাঙ্গার কৃষাণী আকলিমা বেগমের মতে, সবুজ লম্বা লাউ এবং সবুজ গোল লাউ সবচেয়ে ভালো ফল দিয়েছে। শাহেদা বেগম জানান, বৈচিত্র্যময় চারটি জাতের লাউ একসঙ্গে চাষের অভিজ্ঞতা তার ও এলাকার কৃষকদের জন্য অনেক শিক্ষণীয় হয়েছে। তিনি প্রতিটি জাতের একটি করে লাউ বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করেছেন।

শাহেদা বেগম বলেন, “এই গবেষণা থেকে আমি এলাকায় উপযোগী লাউয়ের জাত নির্বাচন করতে পেরেছি। গোল সবুজ লাউ সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে এবং এটি খুব সুস্বাদু। জৈব সার দিয়ে চাষ হওয়ায় লাউগুলো স্বাস্থ্যসম্মত।”

তিনি বারসিককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “এ ধরনের গবেষণায় অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। যদি এই গবেষণাটি আবার পরিচালনা করা হয়, তবে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।”

happy wheels 2

Comments