বস্তায় আদা চাষে সফলতার পথ দেখাচ্ছেন সুলতানা
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পবা উপজেলার দর্শন পাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিলনেপাল পাড়াগ্রাম। এ গ্রামে ২০১৬ সাল থেকে বারসিক বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে। এর মধ্যে বৈচিত্রপূর্ণ সবজির চাষবৃদ্ধি রবিশস্য, মসলা জাতীয় ফসল চাষাবাদে আগ্রহ বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা, সচেতনতামূলক সভা আয়োজন করা হয়।
এ গ্রামের পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কৃষি কাজে জড়িত। এখানকার নারীরা মৌসুমকালিন শাকসবজি আবাদের পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসল চাষাবাদ শুরু করেন। সুলতানা খাতুন (৩১)এমনই একজন নারী যিনি বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় শাকসবজির পাশাপাশি বস্তায় আদা,ঔল,হলুদ চাষ শুরু করেন। উল্লেখ যে বিগত বছরে পরীক্ষামূলকভাবে নিজ উদ্যোগে ১০টি বস্তায় আদা চাষ করেন তিনি। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজ উদ্যোগে চলতি মৌসুমে ৬৫ বস্তায় আদা চাষ করেন।
সুলতানা খাতুন বলেন, ‘আমি এবার প্রথম পরিক্ষামুলক ভাবে ২০ বস্তায় হলুদ ও ৩০ বস্তায় ঔল চাষ শুরু করি।‘ বিগত বছরে অনেক কৃষক কৃষাণী বস্তায় আদা চাষ দেখতে সুলতানা খাতুনের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে তারা অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেকে আদা চাষে আগ্রহী হযন।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই মৌসুমে বিলনেপাল পাড়া গ্রামের ৮জন কৃষক কৃষাণী ২৫০ বস্তায় আদা চাষ শুরু করেন। ভালো বীজ পেতে সুলতানা খাতুন তাদেরকে সহযোগিতা করেন। সুলতানা খাতুন তার নিজ বাড়িতে বস্তায় আদা লাগানোর পাশাপাশি ১০০টি আদা প্যাকেট করেন পরবর্তীতে তার কর্মএলাকায় বিনিময়ের জন্য। সেখান থেকে ৯০ প্যাকেট আদা চারা তার কর্ম এলাকায় শত বাড়িগুলোতে বিনিময় করেন। যাতে করে তারা উৎসাহিত হয়ে পরবর্তীতে তাদের বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গাতে তারা বস্তায় আদা চাষ করতে পারেন।
বর্তমানে মডেল শতবাড়িগুলোর আদা চারাগুলো ভালো আছে। সুলতানা খাতুন বলেন, ‘এ মৌসুমে আমার আদা গাছগুলো খুবই ভালো আছে। কোন প্রকার রোগবালাই দেখা যায়নি।‘ তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্য উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠী ও আমার কর্ম এলাকার অনেক মানুষ পরিদর্শন করতে আসেন। তারা আমার আদা গাছ দেখে অনেক উৎসাহিত হয়েছেন। কারণ আমাদের এলাকায় সর্বপ্রথম আমি নিজ উদ্যোগে হয়ে আদা চাষ শুরু করি। আমার আদা চাষ দেখে মিজানুর রহমান বস্তায় আদা চাষ শুরু করেছেন। তিনি ৫০টি বস্তায় আদা চাষ করেছেন।