তানোরে স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রামবাসীর ড্রেন নির্মাণ
তানোর (রাজশাহী) থেকে অসীম কুমার সরকার
জেলার তানোর পৌরএলাকার হরিদেবপুর গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছাশ্রমে একশত মিটার ড্রেন নির্মাণ করেছেন। দীর্ঘ দশ বছর ধরে দুর্ভোগে ছিলেন ওই এলাকার শতাধিক মানুষ। মিনি ডিপটিউবয়েল ও বৃষ্টির পানি গর্তে জড় হয়ে থাকতো। যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতো ও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে একমাত্র রাস্তা ও ড্রেনটি, শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধসহ পথচারীদের ভোগান্তি ছিল চলাচলে। সামান্য বৃষ্টিতেই ড্রেন না থাকায় হাঁটু পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে জরাজীর্ণ ওই রাস্তাটি। পৌর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েও উপকার পাননি তারা।
বৃহস্পতিবার এ থেকে পরিত্রাণে স্বউদ্যোগে নিজেদের খরচে স্থানীয়রা মিলে নির্মাণ করলেন শত মিটার রাস্তার ড্রেন।
স্থানীয় গৃহবধূরা জানান, ২০ পরিবারের খাওয়ার পানির জন্য যে মিনি ডিপটিউবওয়েল ছিলো তার পানি গর্তে জমা হতো। হাত দিয়ে ছেঁচে ছেঁচে সেই দুর্গন্ধযুক্ত পানি নিষ্কাষণ করতে হতো। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে শিশুরা চলাফেরা করতে পারতো না।
স্বেচ্ছাশ্রমে ড্রেন নির্মাণের উদ্যোক্তারা বলেন, “এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এ কাজে আমরা পাশে পেয়েছি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘বারসিক’কে। আর গ্রামবাসীর এমন স্বউদ্যোগে কাজের কথা শুনে উপস্থিত হন তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: শওকাত আলী।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা: শওকাত আলী বলেন, “এটা সত্যিই গ্রামবাসীর একটি মহতী উদ্যোগ। তারা নিজেদের কাজ নিজে করেছেন। কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে সমস্যা সমাধানের একটি সুন্দর উদাহরণ তালন্দ ইউনিয়নের এই গ্রামটি। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে কোন রকম সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই। তবে কাজটি করার ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের একত্রিত করে এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য বারসিক সংস্থাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।