সাতক্ষীরার বদ্দীপুর কলোনিতে প্রাণ ও প্রকৃতির গল্পের আসর অনুষ্ঠিত
গাজী মাহিদা মিজান, সাতক্ষীরা থেকে,
কলার মোচায় রক্ত সঞ্চালণ বৃদ্ধি করে, তিত বেগুন কৃমি দূর করে, নাতাড়িপাতাড়ি শাক রুচি বৃদ্ধি করে, কুলফি শাক রক্ত তৈরি ও ফোলা রোগ উপশম করে। বউটুনি শাক আয়রন ও পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। বেলে শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ডুমুরে রয়েছে ডায়বেটিসের প্রতিষেধক। মালঞ্চ শাক ক্ষত সারাতে সাহায্য করে, আর কচুর পাতা চোখের জন্য ভালো, পেপুল সর্দি- কাশি ও এলার্জি দূর করে।
এসব অচাষকৃত শাক-লতা-পাতার পুষ্টিগুন মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন সদর উপজেলার বদ্দীপুর কলোনী এলাকার নারী ও শিশুরা। আজ (২৫ শে এপ্রিল) বারসিক’র আয়োজনে “এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’-শীর্ষক প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসরে এসব গুনাগুন তুলে ধরেন পুষ্টির ফেরিওয়ালা হিসেবে খ্যাত রুহুল কুদ্দুস।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বারসিক সাতক্ষীরা রিসোর্স সেন্টারের সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান এবং যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তাদেরকে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত অচাষকৃত শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের বাড়ির আঙিনায় অন্যান্য সবজির সাথে কিছু অচাষকৃত শাকসবজি চাষের পরামর্শ দেওয়া হয়।